৭ই জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। প্রতিদিন টকশো’তে মানূষের নানা রকম আলোচনা শুনেছি। যূক্তি তর্ক দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশ কতটা ঝুঁকিতে। এখন সব আলোচনাকে পেছনে ফেলে প্রচারনায় নেমেছে প্রার্থীরা। ১৭ই ডিসম্বর ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে সরকারের আসন ভাগাভাগির সমঝোতা না হলে জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিবে এমন সংবাদও ছড়িয়ে ছিল। অবশেষে তা’ও সত্য হয়নি। জাতীয় পার্টি সরকারের দেওয়া আসনেই সন্তুষ্ট হয়ে নির্বাচনে যাবে ঘোষনা দিয়েছে। কপাল পুড়েছে কয়েকটি আসনে নৌকার প্রার্থীর।
এখন আর কথা নয় প্রচারনায় নেমে পড়েছে প্রার্থীরা। টকশো’র আলোচনাও বদলে গেছে। নতুন আলোচনাটি হচ্ছে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে কিনা এবং বিদেশীরা কিভাবে তাদের অবস্থান বর্ননা করে। বি এন পি এখনো আন্দোলনে এবং কর্মর্সূচী দিয়েই চলেছে। হরতাল দেওয়া ছাড়া ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ায় নিরুৎসাহিত করছে। কারন তারা জানে ভোটারের সংখ্যা বেশী হলে নির্বাচন নিয়ে কেউ আর কথা বলবেনা। ফলাফল মেনে নিবে সবাই। এমনটি হলে বি এন পি’র রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। সরকারের সামনে এখন ভোটার আনাই মূল লক্ষ্য।
✪ আরও পড়ুন: নির্বাচন-২৪
✪ আরও পড়ুন: নির্বাচন
✪ আরও পড়ুন: আবারও রাজনীতিতে শুন্যতা
✪ আরও পড়ুন: আবারও অবরোধ
নির্বাচন নিয়ে যারাই যাকিছুই বলেছেন সত্য হয়নি। তবে ডামি প্রার্থীরা নির্বাচনের চিত্র বদলে দিবে বলেই মনে হয়। এটাই এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় চমক ছিল। বিরোধী দল আন্দোলন সংগ্রামে সময় নষ্ট না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে সরকার বেকায়দায় পরে যেত। সুযোগটি হাতছাড়া করেছে বি এন পি সহ জাতীয় পার্টিও। গরম গরম বক্তৃতা করে সরকারকে কৌশলী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আন্দোলনের সুযোগ দিয়ে সরকার দুই দলকেই কোনঠাসা করে ফেলেছে। জাতীয় পার্টি চাইলে এবার বেশী আসন আদায় করতে পারত। এককভাবে নির্বাচন করার আগাম ঘোষনা দিয়ে সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেছে। মনোনয়ন দিতে গিয়ে বিরোধের মুখে পড়ে হুশ ফিরেছে। ততক্ষনে আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থান স্থির করে ফেলেছে। দলে যখন বিরোধ তুঙ্গে তখন আসন নিশ্চিত করতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছে। এখন আর রা’টি করারও সুযোগ নেই। দলের পরিনতি এখন বিভক্তির পথে। পরিবারতন্ত্রে আটকে জিম এম কাদের এখন একা। এরশাদের নামে বিদ্রোহী নেতারাও নি:স্ব হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টির ভাগ্য এখন ১১।
এদিকে আবার নৌকার মনোনয়ন পেয়ে অনেকে ডামি প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হওয়ার ঝুঁকিতে। নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য আসনে মনোনয়ন পেয়ে খুঁশি হলেও সংগঠন তার বিপক্ষে। কে যে কার পক্ষে অনুমান করা যাচ্ছেনা। নির্বাচনে হেরে গেলে নেতারা দল থেকেও ছিটকে পরার শঙ্কায় রয়েছেন। এই ভীতিতে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছে। ভোটাররা পছন্দের ব্যক্তিকেই ভোট দিবে। বিগত সরকারের সব আমলনামা দেখেই ভোট দিবে সকলে। ডামি প্রার্থী থাকায় ভোটারদের সুযোগ রয়েছে হিসাব করার।
✪ আরও পড়ুন: অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
বি এন পি হরতাল আর অবিরোধের কর্মসুচী দিয়েই চলেছে। লিফলেট বিলি শুরু করার কথা রয়েছে আজ থেকে। ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করার ঘোষনা দিয়ে লিফলেট বিলি করবে দলটি। মাঠে নামছে সেনাবাহিনী অতএব এই লিফলেটের খেসারত ভুগবে নিরীহ মাঠকর্মী। সবচেয়ে বড় ভয়টি ছিল বিদেশীরা এই নির্বাচনকে কিভাবে গ্রহন করবে। বি এন পি সহ যেসব দল সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করেছে, তাদের উপর বিদেশীদের মনোভাব ভাল নয়। ভোটার সংখ্যা বেশী হলে বিদেশীরা নির্বাচন মেনে নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হয়ে যাবে। দেখার বিষয় নির্বাচন উত্তর নতুন সরকার রাজনীতির অবস্থাটি কিভাবে মোকাবেলা করে। যদি সরকার উতরে যায়, বি এন পি সহ বহু দল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩১ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি