বি এন পি’র ডাকা তিন দিনের অবরোধের মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিন। ঢাকার চিত্র স্বাভাবিক থাকলেও চোরাগুপ্তা আক্রমন হয়েছে গাড়ীর উপর। মিরপুর, মতিঝিল, গুলিস্তান সহ বেশ কয়েক জায়গায় গাড়ী ভাঙ্গচুর হয়েছে। ঢাকার রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দুরপাল্লার গাড়ী খুব বেশী চলেনি। রেল চলাচল এবং যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক থাকলেও নদী পথে লঞ্চ চলেছে ছিল। লঞ্চ মালিক সমিতি আগে থেকেই এই ঘোষনা দিয়ে রেখেছিল। বুধবার থেকে বি এন পি’র সাথে আবার জামাত তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচী দিয়েছে। মনে হয় এই মাস এভাবেই যাবে। কারন বি এন পি তাদের ট্রাম কার্ড খেলে ফেলেছে। হাতে আর কোন ইস্যু নেই সমাবেশ করার। সময়ও নেই।
ইতিমধ্যে চৌদ্দ দলের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগ সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। দলের সাধারন সম্পাদক বি এন পি’র তান্ডবতার বিবরনের পাশাপাশি নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন এই সম্মেলনে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও যে ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে তাতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই এগুচ্ছে মনে হয়। অনেকেই অনুমান করছে নভেম্বরের মাঝামাঝি যে কোন সময় তফসিল ঘোষনা হতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হলে রাজনীতি কোন দিকে মোড় নিবে বলা মুশকিল। কারন বি এন পি’র অভ্যন্তরে একটি বড় অংশ নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে।
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: ড: ইউনুস
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
২৮ তারিখের সমাবেশ ব্যর্থ হওয়ায় দলের নেতাকর্মীরাও হতাশ। অনেকেই প্রকাশ্যে নেতৃত্বকে দায়ী করছে। আজকে সংবাদ বেড়িয়েছে বি এন পি কিছু শর্ত দিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজী হতে পারে। মির্জা ফখরুল সহ কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকেই গ্রেপ্তার না হয় পলাতক। দলের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মত কোন নেতা এই মুহুর্তে দৃশ্যমান নেই। যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি দলের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। তবে স্থায়ী কমিটির কোন নেতা প্রকাশ্যে নেই। নির্বাচনের ঘোষনা এলে বি এন পি’র অনেক নেতা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিবে।
দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিভিন্ন জন মতামত দিচ্ছেন। তবে দেশ এখন নির্বাচনমুখী। অনেকেই অনুমান করছেন বি এন পি’র আন্দোলনে কোন লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়নি।পরিস্থিতি বদল হলে দল কি করবে বা কোন পথে হাটবে তা’ও জানা নেই কারও। এমন অবস্থায় নির্বাচন ঘোষিত হলে দলটির অবস্থা হবে ” না ঘরকা না ঘাটকা”। আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারবেনা সে কথা বি এন পি নেতারা জানত! রাজনৈতিক কৌশলে নির্বাচনে যাওয়ার মত ক্ষেত্র তৈয়ার হলে মাঠের প্রস্তুতিটি বি এন পি’র নেই। এখন আন্দোলন এবং নির্বাচন দুই’ই হাত ছাড়া হয়ে গেছে। বি এন পি যতই গলা ফাটিয়ে দাবী করুক নির্বাচনি খেলায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে। সুষ্ঠ নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। নানা জড়িপ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে তাতে বি এন পি ভাল বিরোধী দল হতে পারবে কিন্তু সরকার গঠন করার মত সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। আর এখানেই বি এন পি নেতাদের বিপত্তি। তারা কোন ভাবেই বিরোধী দলের আসনে বসতে চায় না। তারা যা চায় দেশের জনগন তা চায় কিনা তা জানার আগ্রহও বি এন পি’র নেই।
✪ আরও পড়ুন: রাজকাহন
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি | রাত ৯:২৩ | সোমবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি