আম, জাম, কাঁঠালের মতো জাম্বুরাও আমাদের দেশের একটি মৌসুমী ফল। টক-মিষ্টি স্বাদের রসালো এই ফলের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অন্যান্য সাইট্রাস ফলের তুলনায় জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি রয়েছে এবং ফাইবার থাকার ফলে এটি যেমন ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, তেমনি এতে থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে তা আমাদের শরীরে অ্যান্টি-এজিং প্রভাব প্রয়োগ করে।
পুষ্টিগুণ : প্রতি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি জাম্বুরায় ক্যালোরি রয়েছে ২৩০ কিলোক্যালোরি, পটাশিয়াম ১৩০০ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬০ গ্রাম। এছাড়া প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি ৪১ শতাংশ, রাইবোফ্ল্যাভিন ১৩ শতাংশ, কপার ৩০ শতাংশ, থায়ামিন ১৮ শতাংশ ও ফাইবার রয়েছে ৬ শতাংশ।
উপকারিতা :
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে- জাম্বুরায় উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম থাকার কারণে এটি স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি কার্ডিয়াক পেশী কার্যকারিতার প্রচারে কাজ করে, খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং স্বাভাবিকভাবেই ভালোএইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
লিভার ভালো রাখে- নারিনজেনিন এবং নারিনগিনের মতো শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে জাম্বুরায়। যে কারণে এই ফল খেলে তা লিভারকে ফ্রি র্যাডিক্যাল টক্সিন থেকে রক্ষা করতে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। যার ফলে হেপাটিক অবক্ষয় রোধ হয়।
তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে- উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে জাম্বুরা অ্যান্টি-এজিং প্রভাব প্রয়োগ করতে পারে। ভিটামিন সি সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যা আপনার ত্বকে আরও তারুণ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে- জাম্বুরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে এবং ফাগোসাইটোসিস বাড়ায়। জাম্বুরার উচ্চ অ্যাসকরবিক অ্যাসিড উপাদান সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রতিরোধ করতে শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম