রবিবার থেকে জাতীয় পার্টি মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু করেছে। ইসলামি দলেরও একটি অংশ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। তৃনমূল বি এন পি, জাসদ এবং আরও কিছু দল নির্বাচনের ফর্ম বিক্রি করছে। বি এন পি এখনো অবরোধ কর্মসূচী অব্যহত রেখেছে। কিন্তু দলের বড় একটি অংশ প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনে যাওয়ার। জাতীয় পার্টি ঘোষনা করেছে তারা এবার ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবে। জোট হবে নির্বাচনের কিন্তু ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন তারা করবে না।
এটাই এবারের নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট। কারন জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করলে নির্বাচনকে আর একতরফা বলা যাবে না। তৃনমূল বা বি এন পি নির্বাচনে যাবে। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও সমানভাবে নির্বাচনে লড়বে, প্রতিটি আসনে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হবে। ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা যদি ৫১ পার্সেন্ট বা বেশী হয় তাহলে নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হবেনা। শুধু যারা নির্বাচন বর্জন করবে তারাই বাতিল বলে গন্য হবে। বিদেশী পর্যবেক্ষক, দুতাবাস বা কোন সংস্থা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে কিছু বলার সুযোগ পাবেনা।
✪ আরও পড়ুন: নির্বাচন
✪ আরও পড়ুন: আবারও রাজনীতিতে শুন্যতা
✪ আরও পড়ুন: আবারও অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
এখনো প্রচারনা শুরু হয়নি তবে পক্ষে আওয়াজ উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে। বিগত ৫ বছর আওয়ামী লীগ দল গুছিয়েছে। বি এন পি’কে কৌশলে ব্যস্ত রেখেছে। সরকার পতনের আন্দোলন করতে গিয়ে দল গুছাতে পারেনি। দল ছাড়া ব্যক্তি ইমেজ দিয়ে দলকে ক্ষমতায় নেওয়া সম্ভব নয়। স্বতন্ত্র হয়ে কেউ কেউ বিজয়ী হবে কিন্তু সরকার গঠন করার মত সমর্থ বি এন পি বা তাদের জোটের নেই। রাজনীতি কৌশলের খেলা। বড় বড় সমাবেশ করলেই নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করা যায় না। নির্বাচনে বিজয়ী হতে জনগনের সমর্থন আর তাদের সম্পৃক্ততা জরুরী। এই কাজটিই বি এন পি নেতারা করতে পারেনি। বরং জনগনকে বাদ দিয়ে নেতারা বিদেশী দুতাবাসে দৌড় ঝাপ করেছে বেশী। বিদেশীরাও এখন মত পালটে ভিন্ন সুরে কথা বলছে। বি এন পির অবস্থান তাহলে কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে নেতারাও জানেনা।
তবে একটি সুযোগ এখনো রয়ে গেছে! বি এন পি যদি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষনা দেয় তাহলে জাতীয় সংসদে দলটি বিরোধী দলের স্থান নিশ্চিত করতে পারবে। না হয় দলটির অবস্থান ক্রমেই আরও খারাপ হবে। দলটির মূল কান্ডারী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বন্দি এবং শারিরিক ভাবে অক্ষম। তার কিছু হলে (প্রার্থনা করি তিনি সুস্থ হয়ে অনেকদিন বেঁচে থাকবেন) দল ছিন্নভিন্ন হয়ে পরবে। তারেক জিয়া যতই গরম বক্তৃতা করুক তিনি নেতা নন। বেগম জিয়াকে ছাড়া দলের নেতারা তারেক জিয়ার কথা কেউ মানবে না।
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
বিদেশে বসে, আরাম আয়েসে রাজকীয় পোষাক পরে বাংলাদেশে রাজনীতি করা কঠিন। রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটি আর মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই করতে হবে। যদি কোনভাবে বি এন পি কে ছাড়া নির্বাচন হয়ে যায় তাহলে বাকি জীবন তারেককে লন্ডনেই থাকতে হবে। দল থেকে অর্থ যোগান বন্ধ হলে খেটে খেতে হবে লন্ডনে।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩৪ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি