সরকারের মেয়াদ শেষ। সব দলের নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। দলের মনোনয়ন পেতে প্রার্থীরা নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। গনসংযোগে নেমে পরেছে প্রার্থীরা। কে কে পাবে মনোনয়ন? গ্রাম গঞ্জের চায়ের দোকানে বলাবলি হচ্ছে অমুক প্রার্থী মনোনয়ন পাচ্ছে, অমুকের প্রার্থীতা চুড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন শুধু অপেক্ষা কবে তফশিল ঘোষনা হবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা এবার অন্য যে কোন নির্বাচনের রেকর্ড ভাঙ্গবে। সেকথা ভেবেই দলের নির্বাচনি বোর্ড মনোনয়ন ফর্ম এর মূল্য নির্ধারন করেছে পঞ্চাশ হাজার টাকা। অন্যান্য দলের প্রস্তুতিও একই রকম। বলাবলি হচ্ছে এবার নির্বাচন অন্যসব নির্বাচনের মত হবেনা। যে কারনে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত বিজয় আনতে পারবে এমন ব্যক্তিকেই বাছাই করছে। গুরুত্বপুর্ন নেতারা দলের হয়ে জানিয়েছেন শতাধিক প্রার্থী যারা গত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন তাদের প্রায় শতাধিক বাদ পরার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বক্তব্য কতটা সঠিক তফশিল ঘোষনা হলেই জানা যাবে।
অপরদিকে বি এন পি একটি বড় দল এবং জনসমর্থন রয়েছে। সেই দলটি এখনো নির্বাচনে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেনি। সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থ হয় দলটি এখন নীরব। দলের হয়ে বক্তব্য দেওয়ার মত কোন গুরুত্বপুর্ন নেতা প্রকাশ্যে নেই। দলের কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচী পালন করছে আচমকা গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে। জনগন চাইছে দলটি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু বিপত্তিটি হল এখন যদি বি এন পি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তা হলে ফলাফল হবে আগের চাইতেও ভয়াবহ। কারন দলের বহু জেলাতেই পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই। ত্যাগী নেতারা অনেকেই বহিষ্কৃত না হয় নিস্ক্রিয়। দলের বহিষ্কৃত নেতা মরহুম নাজমূল হুদার তৃনমূল বি এন পি নিবন্ধন পেয়ে গেছে। কর্নেল অলি আগেই দল গঠন করেছে। মেজর হাফিজও দল গঠন করবেন শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেও অবিশ্বাস এবং বিভক্তির খবর প্রায়ই শোনা যায়। কে কার পক্ষে কেউ জানে না।
✪ আরও পড়ুন: আবারও রাজনীতিতে শুন্যতা
✪ আরও পড়ুন: আবারও অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
তারেকের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতাদের মতানৈক্য নিজেরাই বলাবলি করে। অর্থাৎ সমর্থন আছে দলটির কিন্তু নেতৃত্ব নেই। এমন অগোছালো দলের পক্ষে না কোন দাবী আদায় করা সম্ভব না নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সম্ভব। আবার যদি বি এন পি আগের মত নির্বাচন বর্জনের মত আত্নঘাতী সিদ্ধান্তও নেয় তাহলে দলটির অবস্থা হবে করুন। বি এন পি’র নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীরা সব দিকেই চোখ রেখেছে। দলের সিদ্ধান্ত জেনে তাদের অবস্থান পরিস্কার করবে তারা কি করবে! সুযোগটি সরকারী দল আওয়ামী লীগ নিবে এটাই স্বাভাবিক। বি এন পি কোন ভাবেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হতে পারবেনা। নেতৃত্বের ভুলে দলটি চরম অবনতির দিকে চলে গিয়েছে। দলটির জনসমর্থন ছিল। সঠিক রাজনীতি করলে এবার সম্ভাবনা ছিল এবার নির্বাচনে ভাল আসন পাওয়ার। সেই সম্ভাবনাটি বিনষ্ট হয়ে গেছে নেতাদের ভুলে। যে সব বিদেশী বন্ধুরা বি এন পি’র হয়ে নানা রকম বক্তব্য দিয়েছে, তারাও মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে দলটির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে।
বিশ্ব পরিস্থিতি বদলে গেছে- বাংলাদেশেও। এখন মানুষ উন্নয়ন চায়। বি এন পি আন্দোলন করেছে কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোন কর্মপরিকল্পনা ছিল না। বিজয়ী হলে কে হবেন দলের প্রধানমন্ত্রী সে কথাও দেশবাসিকে বলতে পারেনি নেতারা। তারেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয় আর বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অক্ষম। আবার দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জনগন বি এন পি’র বক্ত্যব্যে ভরসা করতে পারেনি।মানুষ যোগ্য নেতৃত্ব চায় দেশের উন্নয়ন চায় সন্ত্রাস চায়না। তাই দলটি সম্ভাবনা থেকেও নি:স্ব হয়ে গেল। দলটির এমন পরিনতি কেউ আশা করেনি। কিন্তু প্রশ্ন হল দলের এই পরিনতির জন্য দায়ী কে?
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:১০ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি