দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের খুব প্রয়োজন। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়েও ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং সরকারেরই অংশ হয়ে জাতীয় সংসদের আসন দখল করেছে মাত্র। বি এন পি ১৫ বছর সরকারের বাইরে থেকে আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়েছে বার বার। জনগনের জন্য কোন কার্যকর আন্দোলন জমাতে পারেনি। যা কিছু করেছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। সেই আন্দোলনও ভুল প্রমানিত হয়েছে বার বার। অর্থাৎ একটি রাজনৈতিক দলের যে সকল কর্মপদ্ধতি থাকা প্রয়োজন তা না করে হঠাৎ ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সংবিধান সংশোধন করে বাতিল করা হয়েছে যেই বিধান তা আবার চালু করতে হলে জাতীয় সংসদেই তা করতে হবে। অথচ দলটির সংসদে প্রতিনিধিত্ব নেই। কেন তারা মনে করল সরকার তাদের হয়ে পদ্ধতি বদল করে দিবে?
আন্দোলন বেগবান করতে হলে জনগনের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। বি এন পি সেই নিয়ম মেনে আন্দোলন করেনি। সরকার পতনের এক দফা দাবীতে রাস্তায় নেমেছে। কষ্ট করে কয়েকটি বড় সমাবেশও করেছে। কিন্তু জনগন সম্পৃক্ততা কতটুকি ছিল তা বোঝা যায়নি। অভ্যন্তরেও সিদ্ধান্তের ভিন্নতা ছিল নেতাদের মধ্যে। ঘরের শত্রু বিভীষণ হয়ে পুলিশ মেরে সমাবেশ পন্ড করেছে নেতারাই। মঞ্চ ছেড়ে নেতারা পালিয়ে চলে গেছে কর্মীদের রেখে। মার খেয়েছে দূর দুরান্ত থেকে আসা কর্মীবাহিনী। নেতারা নিরাপদ দুরত্বে থাকতে নিজেরাই অনেকে পুলিশ ডেকে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন লাল ঘরে। কোন কেন্দ্রীয় নেতা নেই কর্মীবাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়ার। লন্ডনে বসে ভাইয়া তার অবস্থান ধরে রাখতে নিজের মত করে নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন।
✪ আরও পড়ুন: আবারও অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
হরতাল অবরোধের নামে তান্ডবতা চালিয়ে দলটি এখন উপেক্ষিত সব মহলে। জনগনকে ছেড়ে বিদেশী দুতাবাসে গিয়ে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের অনুরোধ করেছে। তাদের কথায় কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞাও এসেছে। কিন্তু যখন নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে বিদেশী বন্ধুরা তাদের বক্তব্য পালটে ফেলেছে। আর সরকার পতনের আন্দোলন হাসির খোড়াকে পরিনত হয়েছে। নির্বাচন হবে ২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখে। এখন চাইলেও বি এন পি দল গুছিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না।দেশের অর্ধেক জেলায় দলের পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই। তার উপর মা পন্থী, ভাইয়া পন্থী, ফখরুল পন্থী নেতাদের বিভক্তিত আছেই।
ইতিমধ্যে তৃনমূল বি এন পি নিবন্ধন পেয়ে গেছে। মেজর হাফিজকে নিয়ে একটি বিভক্তির কথা চাউর হচ্ছে। মাঠ কর্মীরা নেতাদের উপর বিরক্ত। যে দলটির ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে (যে ভাবে বা যে কারনেই হউক) সেই দলটির এমন হ য ব র ল অবস্থা হল কেন? এমন দলকে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে কেন? বি এন পি’র হাতে এমন কি ম্যজিক রয়েছে যা দিয়ে দেশের অবস্থা বর্তমানের চেয়ে আরও উন্নত করে দিবে?
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
ফাইনালি, দলটির নেতা কে? দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রত্যাশা করেছিল দেশের মানুষ। সেই প্রত্যাশাটি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বি এন পি। রজনীতির খেলায় হেরে গেছে দলটি। এখন হয়ত কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে দলটি শেষমেষ নির্বাচনে আসলে আসতেও পারে। কিন্তু তাদের সকল কিছুই এখন অনিশ্চিত সম্ভাবনার দারপ্রান্তে।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:১৩ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি