নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। বি এন পি’র পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা তাদের আন্দোলন অব্যহত রেখে নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করেছে। শনিবার থেকে ৪৮ ঘন্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বি এন পি। রাস্তায় গাড়ী চলাচল করলেও হঠাৎ চোরা গুপ্তা আক্রমন হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মফস্বল শহরগুলিতে ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটছে বেশী। যে কারনে দূরপাল্লার গাড়ী এবং নৈশ কোচ চলাচল হচ্ছে কম।
একই সাথে নির্বাচনী তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেছে সবখানে সব দলেই। বি এন পি’র নেতারাও অনেকে প্রচারনায় নেমে পড়েছে। সারা দেশেই এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। নিত্য সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন জন তাদের মতামত দিচ্ছেন। সংবাদ কর্মীরা ও লিখছেন কাগজে। একটা উৎকন্ঠা রয়েই গেছে সবখানে। সবাই বলাবলি করছে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে তো! সাধারন নাগরিক হিসাবে এবং একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমার পর্যবেক্ষন হল, নির্বাচন হবে এবং সব দলই নির্বাচনে আসবে। যে ভয়টি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচার করে আসছে যে আওয়ামী লীগ আবারও ২০১৮ সালের মত নির্বাচন করবে। বিষয়টি আমার কাছে তেমন মনে হয়নি। বরং এবার একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
✪ আরও পড়ুন: আবারও রাজনীতিতে শুন্যতা
✪ আরও পড়ুন: আবারও অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
এর দু’টি কারন রয়েছে (১) আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন দেখিয়েছে তা জনগনের কাছে এক বিস্ময় এবং (২) নতুন যারা ভোটার হয়েছে তাদের ৭০% এখন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। আরও একটি কারন রয়েছে সরকারী দলের এই পরিবর্তনের। জাতীয় সংসদকে উজ্জীবিত রাখতে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল তারা দেখাতে চায় বিশ্বকে। সর্বশেষ যে কারনটি আওয়ামী লীগকে এমন সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করেছে তা হল জনসমর্থন। যেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হউক আওয়ামী লীগের আসন প্রাপ্তির সংখ্যা হবে ১৩৫ থেকে ১৬৮। অপরদিকে বি এন পি সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা পাবে ১১৫ থেকে ১৩৫। জাতীয় পার্টি নিশ্চিত আসন পাবে ১১টি। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীও আওয়ামী লীগের মধ্যেই বেশী হবে (সম্প্রতি এক জড়িপ এই তথ্য প্রকাশ করেছে) পরবর্তী সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ।
পক্ষান্তরে বি এন পি এখন যেভাবে বিভক্ত তাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়াই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। দলে এক মাত্র জনপ্রিয় নেত্রী হলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সুস্থ থাকলে এবং মুক্ত থাকলে একমাত্র তিনিই পারতেন দলের এই অবস্থান বদলে দিতে। বর্তমান নেতৃত্ব অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে বি এন পি’কে একটা পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২৮ শে অক্টোরের সমাবেশে নেতারা যা করেছে তাতে তাদের সব অর্জন নষ্ট করে দিয়েছে। এখন মাঠ কর্মীরা ভরসা রাখতে পারছেনা নেতৃত্বের উপর। দলের জন্য এখন সবচেয়ে বড় বিপদটি হল নেতারা মধ্যে বিভাজন। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। এই অবস্থায় নির্বাচনে গেলেও দলের পরাজয় হবে না গেলেও হবে। তবুও সিদ্বান্ত তাদের নিতেই হবে না হয় অস্তিত্ব সঙ্কট হবে দলটির!
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৪ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি