মোঃ খোরশেদ আলম,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না জন-সাধারন। উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে প্রতিদিন বাড়ছে জনসমাগম।
সরকার কর্তৃক লক-ডাউনের স্বিদ্ধান্ত ৪ই এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরো ৭দিন বাড়িয়ে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত নিরাপদ দূরত্ব কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার বিষয়ে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সর্বস্তরের মানুষ নির্দিষ্ট হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চললে করোনা আতঙ্ক অনেকটাই কমে আসবে। তাই চলতি এ সপ্তাহকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সরকার আরো এক সপ্তাহের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে বহু সর্তকতামূলক ও প্রচার- প্রচারনা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আইন অমান্য করার অপরাধে একাধিক ব্যবসায়ী ও প্রবাসীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও পার্শ্ববর্তী ৬টি উপজেলার বৃহত্তম বাজার কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় একশ্রেনীর মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্য করে এই বাজারে আগের মত নিত্য-প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও পাড়ার বিভিন্ন অলি-গলিতে যুবক এবং কিশোররা মেতে উঠেছেন খেলাধূলায়। তাদের এমন খোলামেলা বিচরণের ফলে করোনা আতঙ্কে উদ্বেগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে কোয়ারেন্টিনে থাকা সচেতন মহলে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ-বিবাড়ীয়া রোডে – সিএনজি , ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান ও মিনি ট্রাক দাঁড় করিয়ে ফলের আড়ত থেকে তরমুজসহ বিভিন্ন ফল ফলাদি নামানো হচ্ছে। সিএনজি ও অটোরিকশায় নির্দিষ্ট দূরত্ব না মেনে অধিক যাত্রী যাতায়াত করছে। এদিকে মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ রোডের ঔষধ ফার্মেসীগুলোর সামনে সেনাবাহিনীর দেওয়া নির্দিষ্ট দুরত্বে সুরক্ষা রেঁখা অঙ্কন করা থাকলেও তা মানছে না ক্রেতারা ।
একসাথে জটলা বেঁধে পায়ে পায়ে দাড়িয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ নিচ্ছে মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ একতা মার্কেট, সততা মার্কেট, জিয়া মার্কেট ,বেড়ি বাঁধের উপর, নবীনগর রোডসহ বিভিন্ন স্থানে দোকানের এক সাটার বা অর্ধ-সাটার খোলা রেখে পাইকারী ও খুচরা মালামাল বিক্রি করছেন একশ্রেনীর ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন বাজার আমরা মনিটরিং করছি।
করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার জন্য আমরা প্রতিদিন এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে ছুটে চলছি। যদি কেউ সরকারি আদেশ অমান্য করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করব