মো.নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় তৈরি হচ্ছিল নকল ট্যাং,জুস, পৌর সদরের মধ্য সাবর্যাজেষ্টারী অফিসের পিছনের বাড়ীতে TUNG লগু ব্যাবহার করে নকল ট্যাং ও জুস তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিল।
মেইন সদরে পৌরসভা অফিসের উত্তরে একটি বিল্ডিং রোমে ঘরেই তৈরি করা হতো জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ট্যাং। ময়দা, রং মিশ্রিত ক্যামিকেল ব্যবহার করে এসব ট্যাং তৈরি করে বোতলজাত করে দিনের আলোতে আশপাশের বাঞ্ছারামপুরের বিভিন্ন বাজার সমূহে করা হতো বাজারজাত।
অবশেষে ভেজাল পণ্য তৈরির এই কারখানার সন্ধান পেয়েছে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম। রমজান মাস উপলক্ষে ভেজাল বিরোধী বিশেষ অভিযান
ট্যাং তৈরির উপাদান সহ আসবাবপত্র জব্দ করে এবং দুইজন কারিগর সহ আটক করে।
বৃহস্পতিবার (৯মে) দুপুরে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এছাড়া কারখানা মূলহোতা জামাল হোসেন পলাতক রয়েছেন,তার বাড়ী ফরদাবাদ বলে জানা গেছে, তারসহযোগী ২ কর্মচারী মনিরুল ইসলাম, ও মামুন-কে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রি করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান এই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে জুস ট্যাং উৎপাদন এবং বাজারজাত করে আসছিল। বিষয়টি গোপন সূত্রে নিশ্চিত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানাটিকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করি।
এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।