বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভাইরাস চীন ইচ্ছে করেই ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাইরাসে যখন ৩৮ হাজার মার্কিন নাগরিক মারা গেছেন, ঠিক তখনই ট্রাম্প এমন দাবি করলেন। এর প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশটিকে কঠোর ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, মহামারী আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই চীনে এটি থামানো যেতো কিন্তু তা করা হয় নি। আর এখন এই কারণে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, এটি কি ভুল ছিলো যা একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গিয়েছিলো নাকি এটি ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হয়েছে? এই দুইয়ের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। যদি এটি ভুল হয় তবে ভুল ভুলই কিন্তু যদি জেনেশুনে চীন এই কাজ করে থাকে তবে পরিণতি অবশ্যই মারাত্মক হবে।
ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি তারা জানে তারা ঠিক কাজ করে নি তাই তারা এখন বিব্রত হচ্ছে। তারা বলেছে তারা তদন্ত করছে। ঠিক আছে, আমরাও দেখি তাদের তদন্তে কি আসে। কিন্তু আমরাও তদন্ত করবে।
ট্রাম্প সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, চীন বলছে তাদের ১ লাখের মধ্যে মৃত্যুহার ০.৩৩ শতাংশ। এই হার অসম্ভব। প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখের বিপরীতে মৃত্যুহার ১১.২৪ শতাংশ , ফ্রান্স ২৭.৯২ ও স্পেনে ৪২.৮১। এনডিটিভি।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, করোনা ভাইরাস যে চীনের উহানের ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জু লিজিয়ান ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস তৈরির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মার্কিন মিলিটারিই সম্ভবত চীনে ভাইরাস নিয়ে এসেছে।
এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রে যখন ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে- ঠিক তখন তার রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্যরা এজন্য চীনকে দায়ি করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
রিপাবলিকান দলের কিছু আইনপ্রনেতারা একটি বিল উত্থাপনের প্রস্তাবও করেছেন, যার আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিনীরা চীনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করতে পারবেন।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখের বেশি।