বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকায় গুলিতে নিহত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মোল্লা পাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী নুর আলমের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই ইউনিয়নের মোল্লা পাড়া এলাকায় নিহত নুর আলমের কবর জেয়ারত ও তার পরিবারের খোঁজ খবর নিতে তার বাড়িতে যায় জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে কাছে পেয়ে শহীদ নুর আলমের বাবা মা, আন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও নুর আলমের ছোটভাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।
জেলা প্রশাসক এসময় তাদের শান্তনা দেন এবং তার মায়ের হাতে নগদ টাকা ও স্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেন। এ সময় তিনি তাদের বলেন, নুর আলম এ দেশের জন্য শহীদ হয়েছে,তাদের আত্নত্যাগ বৃথা যেত পারে না। তারা আমাদের জাতীয় বীর। তার পরিবারের যে কোন ধরনের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মাঃ মাহফুজুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মঞ্জুর-এ মোর্শেদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো: বরমান হোসেন, সদর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান, বৈষম্য বিরাধী ছাত্রসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, আমরা পর্যায়ক্রম সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদর কাছে যাব এবং তাদের সরকারিভা্ে সহায়তার করা হবে। শহীদরা আমাদের শিখিয়ে গেছে সমাজে বৈষম্য করা যাবেনা।
উল্লেখ্য, গত (২০ জুলাই) সকালে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ভাড়া বাসায় খেতে যাওয়ার সময় কোটা সংস্কার আনন্দলের সংঘর্ষের একটি গুলি তার চোখ ভেত করে বেরিয়ে যায়। পরে সেখানেই লুটিয়ে পরে নিহত হয় নুর আলম। সেখান থেকে লাশ নিয়ে এসে পরের দিন (২১জুলাই) গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে দাফন করা হয়।
আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৪০ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি