ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনসহ তিন দফা নির্দেশ-সংবলিত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এ ব্যাপারে দেয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসব চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে কেন উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত ১৩ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ুম। রিটে এই চুক্তিকে দেশের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করা হয়েছে।
এরও আগে গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। তিনদিনের মধ্যে চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া লিগ্যাল নোটিশে জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়। পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নোটিশের জবাব দিতে তিন দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, যা পেরিয়ে যাওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়া করে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম