মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইস্যুতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে এমন ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানছি না। আমাদের এক দফা দাবি, সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে।’
এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে, ততক্ষণ রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই ঘোষণা দেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন তীব্র গরমের মধ্যে সড়কে ঘাম ঝরাচ্ছি, তখন আপিল বিভাগ থেকে কোটা নিয়ে যে রায় ছিল; সেটা বহাল রেখেছে। আমরা ছাত্র সমাজ আপিল বিভাগ থেকে যে রায় দিয়েছে, সেই রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা বলতে চাই, ছাত্রসমাজের প্রাণের এক দফা দাবি হচ্ছে, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানের প্রতি আমরা সম্মান রেখে বলছি, সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে যৌক্তিকভাবে কোটা রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ছাত্র সমাজের এক দফা দাবি আদায় না হবে, আমরা রাজপথ থেকে ফিরে যাবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ছাত্র সমাজের এক দফা দাবি মেনে নিন। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে চাই। আমাদের পড়ার টেবিলে ফেরার সুযোগ দিন। আমরা তিন দিন ধরে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি দিয়ে সারা দেশ অচল করে দিয়েছি। তাই বলতে চাই, আমাদের দাবি মেনে নিন। আর যদি আমাদের দাবি মেনে না নেন, তাহলে আমরা হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হবো।’
এদিকে আজ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম