টক দই স্বাস্থ্য়ের পক্ষে যেমন উপকারী, তেমনি ত্বকে নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সক্ষম। বাড়িতে তৈরি টক দই বা দোকান থেকে কেনা টক দই ব্যবহার করাই যায়। গরমকালে টক দইয়ের ব্যবহার বেশি হলেও, যে কোনও ঋতুতেই দই সবসময় ভাল। পেট ভাল রাখতে টক দইয়ের কোনও ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। শরীর ভাল রাখতে টক দইয়ের পুষ্টিগুণ বেশ কার্যকরী। এছাড়া ত্বকের যত্ন নিতে ও যেকোন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ম্যাজিকের মত কাজ করে এই সুস্বাদু টক দই।
রূপচর্চায় টক দই
মুখের জন্য –
• রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য ৫ চামচ টক দই, ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো, ১ চামচ মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে মুখ, হাত, পায়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। ১ মাস এই মাস্কটি লাগিয়ে ফলাফল দেখুন। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা মধু নিতে পারেন।
• ৩ চামচ টক দই, আধা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চামচ বেসন মিশিয়ে মাস্ক হিসেবে লাগান, ত্বক ফর্সা হবে।
• স্টবেরি ফল ২ টি এবং ৫ চামচ টক দই ব্লেন্ড করে মুখে মাস্ক হিসেবে লাগান। ত্বক অনেক ফ্রেশ হবে, ত্বকের কোলাজেন এর সমতা রাখবে, ব্রণ এবং ত্বকের দাগ দূর করবে, বলিরেখা কমাবে।
• শুষ্ক ত্বক সমস্যায় দই ক্রিমের মতো গোটা মুখে মেখে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের ভরপুর ময়শ্চার ত্বক আর্দ্র আর কোমল করতে সাহায্য করবে। বাড়তি তরতাজাভাব পেতে দইয়ের সঙ্গে খানিকটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন।
চুলের জন্য –
টক দই, কলা, ডিম একসাথে ব্লেন্ড করে চুলে দিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে করে চুল পড়া কমবে, চুল নরম হবে, চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হবে।
দেহের জন্য টক দই
• দই দুধের থেকে তাড়াতাড়ি হজম হয়। যারা দুধ খেতে পারে না, তারা প্রতিদিন ৪/৫ চামচ টক দই খেতে পারেন।
• টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের মেদ বার্ন করে।
• দই এর ব্যাকটেরিয়াগুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক ভালো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ব্যাকটেরিয়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
• দই সব বয়সী লোকদের জন্য ভালো। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ২ কাপ করে দই খায়, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
• দই যেকোনো ব্যাকটেরিয়াল ফাংঙ্গাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করবে।
• দইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম (৮ চামচ দই = ৪৫০ মিলি ক্যালসিয়াম)। দইয়ে আছে ভিটামিন সি এবং ডি।
• দই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম