স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরায়েলকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে না সৌদি আরব। স্থানীয় সময় বুধবার উপদেষ্টা শুরা কাউন্সিলের বার্ষিক ভাষণে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁর বক্তব্যে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অপরাধ’ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব তার অক্লান্ত পরিশ্রম বন্ধ করবে না এবং আমরা নিশ্চিত করছি যে এটি ছাড়া সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
শুরা কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন যুবরাজ। বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বার্ষিক এই বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। ভাষণের আগে যুবরাজের সামনে শপথ গ্রহণ করেছেন শুরা কাউন্সিলের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে যে, তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে রয়েছে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন। যুবরাজের শেষ বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রচেষ্টা ধোপে টিকবে না। গাজা যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে যুবরাজ সালমান জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল-সৌদি একটা চুক্তির সন্নিকটে আছে।
ওই দুই সূত্র রয়টার্সকে আরও বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কিছু বিলম্ব হবে। রিয়াদের জন্য এই আলোচনার সবচেয়ে লাভজনক দিক হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ যেটা ধারণা করছেন, তা হলো, এর বিনিময়ে মার্কিনিদের সঙ্গে একটা প্রতিরক্ষা চুক্তির দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।
সুত্রঃ রয়টার্স।
আজ ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৪৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি