মানুষের বাসা-বাড়ির, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসির বর্জ্য থেকে জৈবসার ও বায়োগ্যাস উৎপাদন হবে। এছাড়া প্লাস্টিক, পলিথিন ও ইলেকট্রিক বর্জ্য রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে উৎপাদন হবে। যা সিলেট বিভাগের মধ্যে একমাত্র মৌলভীবাজার পৌরসভাকে এ প্রকল্পের আওতাধীন বাস্তবায়ন করার লক্ষে রাখা হয়েছে।
দেশের চারটি সিটি করপোরেশন ও ১৭টি পৌরসভা এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের আওতায় রয়েছে। অর্থায়ন করছে এশিয়ান ইনফাস্টাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। চলতি অর্থবছরেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবার সম্ভবনা রয়েছে। মৌলভীবাজার পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান।
পৌরসভা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোজেক্ট অন ইন্টিগ্রেটেড সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় দেশের চারটি সিটি করপোরশেন ও ১৭টি পৌরসভা রয়েছে বর্জ্য থেকে জৈবসার ও বায়োগ্যাস তৈরির আওতাধীন রয়েছে এ প্রকল্পের।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজার পৌর এলাকায় মোট জনসংখ্যা ৭৯ হাজার ৬৯৮ জন। বর্তমানে পৌর এলাকায় প্রতিদিন বর্জ্য উৎপাদন হয় প্রায় ২৯ টন, যার মধ্যে ৮৩ শতাংশ বাসাবাড়ির খাদ্য বর্জ্য আর ১৭ শতাংশ পলিথিন, প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক এবং মেডিকেল বর্জ্য। এগুলো আলাদা আলাদা করে রকম অনুযায়ী তৈরি করে জৈবসার ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হবে।
তিনি বলেন, এক যুগ পর অর্থাৎ ২০৩৫ সালে সেটা হবে কমপক্ষে ৩৫ টন। ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ হাট বসিয়ে সপ্তাহে এক দিন প্রতি কেজি ৫০ টাকা সমমূল্যে পৌর নাগরিকদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত পলিথিন প্লাস্টিক কেনা শুরু করেছে। শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখা ও পরিবেশ সংরক্ষণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরে এতে করে কোন প্রকার জলাবদ্ধতার সৃষ্টির আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি