নারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে আরও বেশি অংশ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার লক্ষ্যে তরুণীদের জন্য আমাদের অবশ্যই সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞানে নারীদের নেতৃত্বের পদে উন্নীত করা জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের নারী বিজ্ঞানীদের কাজকে স্বীকৃতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সমাবেশে নবম আন্তর্জাতিক নারী ও বালিকা দিবসে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে অংশ নেয়া সবাইকে তার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিয়োজিত সব নারীকে আমি অভিনন্দন জানাই। বিজ্ঞানে আমাদের আরও বেশি নারী ও মেয়েদের প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশের প্রতিবন্ধী তরুণদের ডিজিটাল খাতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে চান বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার নারীদের জন্য তাদের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। আমরা সব উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য বিজ্ঞান এবং আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নেয়া বাধ্যতামূলক করেছি। অতীতে উচ্চশিক্ষায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক ছিল না।
‘তবে আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার নারী ও মেয়েকে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে নারীদের উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত বোধ করি। আমরা তরুণ নারীদের আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।’
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ শতাংশ।
শেখ হাসিনা বলেন, “‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের তরুণীদের প্রস্তুত হতে হবে। আমি সবসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার জন্য নিবেদিত থাকব।”
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম