মাধ্যমিক থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর সেরা মেধাবী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় শিক্ষার্থীরা মঞ্চে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন, এরপরেই প্রধানমন্ত্রী তাদের ডেকে মমতা ভরে জড়িয়ে ধরেন।
সোমবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ের তরুণরাই আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর যখন আবার ক্ষমতায় আসা হয়, তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করবো। কারণ আমি দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও বোমাবাজি করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন জট ছিল আর শিক্ষা পদ্ধতি ছিল সেই মান্ধাত্বা আমলের। সেসব বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিক্ষা কারিকুলামকে উন্নত করা হয়েছে। শিক্ষা কমিশন গঠন করে শিক্ষা নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে মেধা রয়েছে, তা আজ তাদের বক্তব্য শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। সত্য কথা বলতে কী এতো জ্ঞান তো আমাদেরও ছিল না। এতো সুন্দর করে আমিও বক্তব্য দিতে পারি না। তাদের কথা শুনে আমি স্বস্তি অনুভব করছি যে, আগামী দিনের বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ এগিয়ে চলার বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ; এ বাংলাদেশকে নিয়ে আমার আর দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এখন এই ছোট্ট সোনামনিরাই নিয়ে যাবে এই বাংলাদেশকে এগিয়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতেও পরিচালনা করবে তারা।
আগামী দিনে শিল্পখাতের যে পরিবর্তনটা এসে যাচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, তার জন্য উপযুক্ত দক্ষ কারিগর হিসেবে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে উঠবে আমাদের এ আজকের ছেলেমেয়েরা এটাই আমি বিশ্বাস করি বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারে আমাদের ছোট্টসোনামনিরা সেভাবেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে তুলছি। শিক্ষাকে আনন্দ নির্ভর করতে চাই। এমনভাবে করতে চাই, যাতে ‘পড় পড়’ বলতে না হয় বরং শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে পড়ে এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে পরিবর্তন মানতে চায় না। পরচর্চা অনেকেই করে। কে কী বললো, ওটা না শুনতে শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে। শিক্ষার্থীদেরও বলবো, তোমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলবে। তাহলেই তোমরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে। আমরা চাই, দেশকে এগিয়ে নিতে।
এর আগে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম