বেনাপোল-মোংলা রেলপথে যাত্রীসেবা শুরু হয়েছে আজ। প্রথম যাত্রায় কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ৫৪৯ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার সকাল ১০টায় বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে মোংলা কমিউটার ট্রেন ছেড়েছে বেনাপোল থেকে। এসব যাত্রীর মধ্যে ৩৭ জন মোংলার যাত্রী রয়েছে।
জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারেও বেশ আগ্রহ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ দুই পথে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল, সড়ক ও নৌপথে পথে রয়েছে যাত্রী ও বাণিজ্যসেবা। এছাড়া দর্শনীয় স্থান ঘুরতে ও বিভিন্ন কারণে অনেকে বেনাপোল-মোংলা রুট ব্যবহার করে থাকে। এ রুটে যাত্রী সেবা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীদের দাবির মুখে রেল কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে চালু করেছে যাত্রীসেবা। এ রুটে ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে বেনাপোল থেকে মোংলা মাত্র ৮৫ টাকা। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার। খুলনা থেকে ভোর ৬টায় বেনাপোলে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় । পরে বেনাপোল থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পরে দুপুর ১ টায় মোংলা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি বেনাপোল পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে ৪ টায়।
প্রসঙ্গত, ট্রেন চলাচলের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ উদ্বোধন হয় গেল বছরের পহেলা নভেম্বর। ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। দীর্ঘ ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ১১টি প্লাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। তবে দীর্ঘ সাত মাস পর শুরু হলো রেল চলাচল। নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করবে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেনটি ফেরার পথে খুলনার ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে, তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি ‘মোংলা কমিউটার’ নাম ধারণ করে চলবে। এতে সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে বলে খুশি যাত্রীরা।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:৪৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি