সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে বিপিএল দশম আসরের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে হেরে গেছে তারা। চট্টগ্রামের সংগ্রহটা খুব একটা বড় না হলেও জয় পেতে বেগ পেতে হয়েছে খুলনা টাইটান্সকে। তবে মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেনের অনন্য ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটের জয়ে পেয়েছে রূপসা পাড়ের দলটি।
মিরপুর-শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটে পাঠান খুলনার অধিনায়ক আনামুল হক বিজয়। ব্যাটে নেমে ইনিংসের এক বল বাকী থাকতে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। জবাবে নেমে ১৮.২ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে খুলনা।
স্বল্প রান তাড়ায় নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি খুলনার। ৪.২ ওভারে দলীয় ৩২ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটার এভিন লুইস, এনামুল হক বিজয় ও সাই হোপের উইকেট হারায় তারা। এরপর হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়। ১২.৫ ওভারে দলীয় ৭৮ রানে আফিফ ফিরে যান নিহাদুজ্জামানের শিকার হয়ে। ২৮ বলে ২৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
১৪,১ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে ৫ম ব্যাটারকে হারায় খুলনা। হাবিবুর রহমান সোহান ফিরে যান ৩ বলে ৩ রান করে। ১৭.৪ ওভারে জয় ফিরে যান দলীয় ১১৪ রানে। একটি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ বলে ৩৯ রান করেন এই ব্যাটার। পরে নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ফাহিম আশরাফ। ৮ বলে ১৫ রান করেন ফাহিম আর ৩ বলে ২ রান করেন নাহিদুল।
চট্টগ্রামের হয়ে আল আমিন হোসেন ও শহীদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া বিলাল খান ও নিহাদুজ্জামান নেন একটি করে উইকেট।
এর চট্টগ্রামকে ব্যাটে পাঠিয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানে জোড়া উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম। ফেরান আভিস্কা ফের্নান্দো ও ইমরানুজ্জামানকে। পরে চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৩২ রানে নাহিদুলের তৃতীয় শিকার হন তামিম। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩ বলে ১৯ রান করেন এই ওপেনার।
৭.৪ ওভারে দলীয় ৫৪ রানে শাহাদাত হোসেন দীপুকে ফেরান নাসুম আহমেদ। ১০ বলে ৬ রান করেন দীপু। পরের ওভারেই অধিনায়ক শুভাগত হোমকে ফেরান ফাহিম আশরাফ। ৪ বলে ২ রান করে ফিরে যান হোম। ১১তম ওভারে দলীয় ৬৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান নাহিদুল। তিন চারে ২২ বলে ২৪ রান করেন নাজিবুল্লাহ। এরপর ব্যাটে নেমে একপ্রান্ত আগলে রাখেন শহীদুল ইসলাম। তবে একে একে ফিরে যান কার্টিস ক্যাম্প্যার (১১ বলে ৭), নিহাদুজ্জামান (১৫ বলে ৯) ও বিল্লাল হোসেন ২ বলে ১ রান করে। এরপর ইনিংসের এক বল বাকী থাকতে শহীদুলকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস গুটিয়ে দেন ওশান থমাস। চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রান করেন শহীদুল।
খুলনার হয়ে নাহিদুল ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ফাহিম আশরাফ তিনটি, ওশান থমাস দুটি ও নাসুম নেন এক উইকেট।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম