সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেছিলেন। তবে এবার সিরিজ জয়ের মিশনে টস ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রানের পুঁজি সংরহ করে টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তেই কাটা পড়েছিলেন লিটন। তবে তার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও। সহকারী কোচ নিক পোথাসও তাকে ঘিরে আশার কথা শুনিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে মিরপুর; সব জায়গাতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এবার তৃতীয় ম্যাচেও ভাগ্য সহায় হলো না এই ওপেনারের। মন্থরগতির এক ইনিংসে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। তাকে ফিরিয়েছেন মুজারাবানি।
এবার সতীর্থের পথই অনুসরণ করলেন টাইগার দলপতি শান্ত। এক বাউন্ডারিতে ৬ রানেই থামলো শান্ত। তাকে ফিরিয়েছেন সফরকারীদের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর কমে ছিল রানের গতি; তবে গতি বাড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। রাজার শেষ ওভারে একটি করে ছক্কা মেরেছেন হৃদয় ও জাকের। দুর্দান্তভাবে ব্যাট করে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী। নিজের ফিফটি পূরণের পর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি হৃদয়। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে মুজারাবানির বলে বোল্ড আউট হন তিনি। এক বল পরেই জাকের কেউ একই ভাবে সাজঘরে ফেরান এই ডান হাতি পেসার। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন জাকের।
শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪ বলে ৯ রান এবং রিশাদ হোসেনের ৪ বলের ৬ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে জয়লর্ড গাম্বিকে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে নেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। ১১ বলে ১০ রান করা বেনেটকে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্রেগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। এতে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত-
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৬৫/৫
জিম্বাবুয়ে : ১০ ওভারে ৬৫/৪
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম