অস্থিতিশীল এখন ডিমের বাজার। আর বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এখন পর্যন্ত ৪টি প্রতিষ্ঠানকে পণ্যটি আমদানির এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড।
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সুত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
তবে ডিম আমদানিতে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। শর্তগুলো হলো-
১. এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে।
২. আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
৩. সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে।
৪. নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না।
৫. সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্য প্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে স্থানীয়বাজারে ডিমের দাম না কমলে সরকার ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের প্রভাব পড়েনি রাজধানীর কাঁচাবাজারে। যার ফলে এবার ডিম আমদানির অনুমোদন দিলো মন্ত্রণালয়।
*** আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২০ | শুক্রবার ***
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি