প্রথম ইনিংসে কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয়ভাগে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটিং। রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে সফরকারীরা। তাদেরকে একশর আগে গুঁড়িয়ে ৩৬০ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে প্যাট কামিন্সের দল।
ব্যাটসম্যানদের চমৎকার ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নৈপুণ্যে পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনই জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে ৪৮৭ রান করে পাকিস্তানকে ২৭১ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। ৫ উইকেটে ২৩৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। প্রতিপক্ষকে ছুঁড়ে দেয় পাহাড়সম লক্ষ্য। যে রান তাড়ায় স্রেফ ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে অল্পতে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। দুটি প্রাপ্তি নাথান লায়নের। ইনিংসে নিজের প্রথম শিকার ধরে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ার এই অফ স্পিনার। দেশটির তৃতীয় ও সব মিলিয়ে অষ্টম বোলার হিসেবে টেস্টে অভিজাত এই ক্লাবে জায়গা করে নেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে এই ইনিংসে একজনও পার করতে পারেননি ২৫ রান। সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে সৌদ শাকিলের ব্যাট থেকে। ইনিংসে মোট তিনজন ছুঁতে পেরেছেন দুই অংক।
এর আগে ২ উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ৪৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৪৫ রানে বিদায় নেন স্টিভেন স্মিথ। ট্রাভিস হেডও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা উসমান খাওয়াজা দলকে টানেন মিচেল মার্শকে নিয়ে। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ১৫১ বলে ফিফটি করা খাওয়াজার সামনে হাতছানি ছিল সেঞ্চুরির। কিন্তু অল্পের জন্য পাননি তিন অংকের উষ্ণ ছোঁয়া। ৯ চারে ফেরেন ৯০ রান করে। তার বিদায়ের পরই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
মার্শ অপরাজিত থাকেন ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ রান করে। ফিফটির আগেই এই ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে পারত অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মিড অফে মার্শের সহজ ক্যাচ ছাড়েন শান মাসুদ। তখন ২৩ রানে খেলছিলেন মার্শ।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম