প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর চূড়ান্ত করতে আগামীকাল রোববার (২ জুন) বেইজিংয়ে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আগামী সোমবার (৩ জুন) বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েডংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুও গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সেই সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে চীনের প্রতিশ্রুত অর্থছাড় ও বাণিজ্যিক ঘাটতি কমিয়ে আনার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চীনের সহায়তা চায়। অন্যদিকে বেইজিং চায় নিকট প্রতিবেশীর উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে। বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুপক্ষের জাতীয় স্বার্থের মধ্যে মিল খুঁজে বের করে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে চায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের’ পর চীনের নতুন দুই উদ্যোগ- গ্লোবাল ডেভলপমেন্ট ও সিকিউরিটি ইনিশিয়টিভে বাংলাদেশ যোগ দেবে- এমন প্রত্যাশা দেশটির। সেই প্রস্তাব নিয়ে ২০২২ সালে ঢাকা সফর করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সে সময় ভূ-রাজনীতির নানা হিসাব-নিকাশের কারণে ওই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ। তবে এরমধ্যেই ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ও পরিষ্কার করেছে সরকার। তাই আগামী জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য চীন সফর ঘিরে আবারও আলোচনায় উঠে এসে চীনের ওই দুই উদ্যোগে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার বিষয়টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা হবে বলে গনমাধ্যমকে জানান। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এছাড়া চীনের সঙ্গে এবার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা, সবুজ ও নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন এবং বন্যা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদীর জলীয় তথ্য সরবরাহ। এছাড়াও ঢাকা বেইজিং সচিব পর্যায়ের ১৩তম এ বৈঠকে গুরুত্ব পাবে মিয়ানমারের রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি নিয়েও বলে জানান তিনি।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:৩৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি