বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে সাময়িকভাবে পেট্রাপোল স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এতেও কাজ না হলে আগামী বছর থেকে স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন বাংলাদেশিরা কীভাবে আলু, পেঁয়াজ খায় সেটা দেখিয়ে দিবো।
সোমবার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বনগাঁর পেট্রোপোলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুমকি দেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আজকে সিনেমার ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মুক্তি না পেলে পাঁচ দিন স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে। তারপর ২০২৫ সালে লাগাতার বন্ধ করে দেওয়া হবে। আলু-পেঁয়াজ কী করে যায়, তা আমরা দেখব। আমাদের নাম ভারতবর্ষ।”
তিনি আরো বলেন, কলকাতায় একদিনে যে আবর্জনা বের হয়, ওটা ফেলে দিয়ে এলেই না ঢাকা পড়ে যাবেন। পাঙ্গা নিতে আসবেন না।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে ১৭ হাজার ভারতীয় জওয়ান আত্মবলিদান দিয়ে এই বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। ভুলে যাবেন না। কেউ যদি অতীত ভুলে যান, তার ভবিষ্যৎ ভালো হয় না। ভালো হতে পারে না ভবিষ্যৎ।
সমাবেশে মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, যখন শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রতিবাদ চলছিল, সেইসময় আক্রান্তদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে দায়িত্ব ঠেলছেন তিনি।
পরে নিজের সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মতো আধ্যাত্মিক নেতাদের গ্রেফতার, হিন্দুদের ওপরে লাগামহীন অত্যাচার এবং বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার ভিক্ষু, ইসকনের ভক্ত এবং সাধারণ সনাতনী মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আমরা দাবি করছি, প্রতিবেশী দেশ এবং এটির অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই হিন্দুধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
এদিকে সীমান্ত বন্ধের আশঙ্কায় সোমবার সকাল থেকে অনেককেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে দেখা যায়। তাদের আশঙ্কা সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীতে যদি দেশে ফিরতে না পারেন। অনেকে এমনও বলছেন বাড়ির সদস্যরা অনেক আতঙ্কে আছেন, ফোন পেয়েছেন তাই দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম