ঈদের কয়েকদিন পরই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। একটি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের এবং অন্যটি চিত্রনায়িকা নিপুণ ও অভিনেতা মাহমুদ কলির। এর মধ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা।
বর্তমানে নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এসবের মাঝেই অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন ডিপজল। এবার বিষয়টি নিয়তে মুখ খুলেছেন অঞ্জনা।
নির্বাচনী প্রচারণার ব্যস্ততার মধ্যেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর খবরে আলোচনায় উঠে এলেন অঞ্জনা-ডিপজল।
চেক ডিসঅর্নার-এর জন্য চিত্রনায়িকা অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গত ২৩ মার্চ অভিনেত্রীর নিকেতনের বাসার ঠিকানায় এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
জানা যায়, অঞ্জনা গত বছর ডিপজলের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ছয় মাসের মধ্যে ধার পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি।
ডিপজল টাকা ফেরত চাইলে তিনি এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপজলের অ্যাকাউন্ট বরাবর ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি চেক দেন। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়।
এ প্রেক্ষিতে গত ২৩ মার্চ টাকা পরিশোধ করার জন্য ডিপজল অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সেটি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে অঞ্জনাকে পুরো অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে অঞ্জনা বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া নেই। আমি বলব— এটি শুধুই ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে ডিপজল ভাই না, তার লোকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা কোনো ইস্যু না। ডিপজল ভাই তো আমাদেরই ভাই।
ডিপজলের সঙ্গে তার খুবই ভালো সম্পর্ক দাবি করে অঞ্জনা বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার পর তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ডিপজল ভাই নিজেও এ ঘটনায় বিব্রত। আমি ঈদের আগেই টাকা ফেরত দেব।’
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম