দিনের পর দিন মৌলভীবাজারে দাবদাহ বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে তরমজু-ডাবসহ রসালো ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলাই দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রতিকেজি তরমুজ ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের চৌমোহনা, পশ্চিম বাজার, কোর্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা থরে থরে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। তরমুজের মৌসুম হলেও বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। পবিত্র রমজান ও গরমের কারণে ৪-৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩-৪ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা।
শহরের পশ্চিমবাজার ফল বিক্রেতা পটল বাবু জানান, হঠাৎ গরম পড়ছে। রমজানে তরমুজের চাহিদা বেশি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এতে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে। প্রতিদিন ৭০-৮০টি তরমুজ বিক্রি করে থাকি।
চৌমহনার ফল ব্যবসায়ী গোবিন্দ্র দেব বলেন, শ্রীমঙ্গলের পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ক্রয় করতে হয়। তাই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
তরমুজ বিক্রেতা লেচু মিয়া বলেন, আমি ৭ বছর ধরে মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে আসছি। রমজানে মানুষের খাবার চাহিদা বেশি থাকে। গরম ও রমজান এক সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এটি বেশি দামে বেচাকেনা হচ্ছে। আমরাও ভালো ব্যবসা করছি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
রাজনগর থেকে আসা নিজাম উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, পরিবারের ছোট সোনামনিদের আবদার রক্ষার জন্য বেশিমূল্য দিয়ে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। তরমুজ রসালো ফল ইফতারে পানি শূন্যতা দূর হওয়ার জন্য একটি ভালো খাদ্য।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ এসেছে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে আমি জেনেছি। মৌলভীবাজার শহরের কোথাও দাম বৃদ্ধি করা হয় না। দর উঠানামার বিষয়টি শ্রীমঙ্গল থেকে কন্ট্রোল করা হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও বাড়তে পারে।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি