ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। গাজায় যুদ্ধের জেরে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপ। তবে নতুন আইন কবে থেকে কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
অন্তহীন সাদা বালির সৈকত এবং বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য পরিচিত ভারত মহাসাগরের দ্বীপ-রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় রোববার (২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, মন্ত্রিসভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তা জানানো হয়নি।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে দেশটির আইন সংশোধন করা হবে এবং তদারকির জন্য একটি মন্ত্রিপরিষদ উপকমিটি গঠন করা হবে বলে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে।
মালদ্বীপের এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের নাগরিকদের মালদ্বীপ সফর এড়ানোর সুপারিশের পাশাপাশি সেখানে অবস্থানরত নাগরিকদের মালদ্বীপ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ইসরায়েলি নাগরিকরা মালদ্বীপে বিপদে পড়লে তাদের সহায়তা করা কঠিন হবে। এদিকে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু।
তিনি ঘোষণা করেছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়নের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির (ইউএনআরডাব্লিউএ) সাথে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই ও বোনদের সহায়তা করার জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
মুইজ্জু ‘ফালাস্থিনা একু ধিভেহিন’ স্লোগানের অধীনে দেশব্যাপী একটি সমাবেশও পরিচালনা করবেন। যার অর্থ ‘ফিলিস্তিনের সাথে সংহতিতে মালদ্বীপবাসী’।
রাফায় বাস্তুচ্যুত একটি শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনায় মালদ্বীপের নিন্দা জানানোর কয়েকদিন পর এই খবর এলো।
মালদ্বীপ ১৯৭৪ সালে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ১৯৯০-এর দশকে ইসরাইলি পর্যটকদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় দ্বীপ দেশটি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম