সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা এমন একটি ওষুধ তৈরি করেছেন যা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিকাশের জন্য ব্যাকটেরিয়ার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা দীর্ঘায়িত করতে পারে। এ ওষুধটির নাম ডিকুয়ালিনিয়াম ক্লোরাইড (DEQ)। এই ডিকুয়ালিনিয়াম ক্লোরাইড ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারনে ২০১৯ সালে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন মৃত্যু হয়েছে। আর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক ১০ মিলিয়ন মৃত্যু হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের আণবিক এবং মানব জেনেটিক্স, জৈব রসায়নের অধ্যাপক ডাঃ সুসান এম রোজেনবার্গ বলেছেন, অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের পর আক্রান্ত ব্যক্তিরা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নেওয়ার পর ভাল হয়ে যায়। তবে এমন অনেকের বেলায় দেখা গেছে ব্যাকটেরিয়াগুলি অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যার ফলে তখন আর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে না অ্যান্টিবায়োটিক। সংক্রমণের সময় ব্যাকটেরিয়ায় ঘটে যাওয়া নতুন জিন মিউটেশনের কারণে এ প্রতিরোধের সৃষ্টি হয়। ব্যাকটেরিয়ায় নতুন মিউটেশন তৈরি হওয়ার গতি কমিয়ে দেয় এই ড্রাগ ডিকুয়ালিনিয়াম ক্লোরাইড (DEQ)।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে দলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমরা দেখতে পেয়েছি যে DEQ উভয় প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে। সিপ্রোর সাথে একত্রে, ডিইকিউ মিউটেশনের বিকাশকে কমিয়ে দেয় যা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া, আমরা কম DEQ ঘনত্বে এই মিউটেশন-ধীরগতির প্রভাব অর্জন করেছি, যা রোগীদের জন্য আশাব্যঞ্জক। রোগীদের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে DEQ-এর ক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য ভবিষ্যতের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রয়োজন।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি