প্রাণঘাতী করোনার মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার আর সে প্রতিবন্ধকতা নেই।
আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশে সাড়ম্বরেই উৎসব করবে সরকার। আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উৎসব করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মাউশি অধিদপ্তর থেকে লিখিত এক আদেশে বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার জন্য ‘পাঠপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হবে। এই দিবস যেন সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় বই উৎসব। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে প্রাথমিকের বই উৎসব।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আগামী শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীকে এক সেট বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদ ইসলাম বলেন, রোববার বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশের আড়ম্বরপূর্ণভাবেই পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে। যেহেতু গত দু’বছর বই উৎসব করা হয়নি তাই এবার জেলা-উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে, উৎসব যেন আড়ম্বরপূর্ণ হয়। আমরা বেশিরভাগ বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিজ নিজ জেলায় উৎসব পালন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ ডিসেম্বর সকালে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট চার কোটি ৯ লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে নয় কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে মোট দুই লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি বই।