পাকিস্তানে খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) কুররম জেলায় জাতিগত সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে । এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। গত বৃহস্পতিবার কুররমের ঘনবসতিপূর্ণ বাগান এলাকায় ২০০ যানবাহনের বহরে হামলার ধারাবাহিকতায় এই সংঘর্ষ হয়। ওই হামলায় ৪৩ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছিলেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
কুররমের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে স্থানীয়দের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার কুররমের সম্মেলন কক্ষে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সাজিদ হুসাইন তুরি বলেছেন, ওই বৈঠকে কেপি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) আখতার হায়াত খান, মুখ্য সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরি ও সরকারি মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলি সাইফ উপস্থিত ছিলেন।
তুরি অভিযোগ করে বলেন, হামলার শিকার বহরটিতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বহরের চারপাশ থেকে হামলা চালানো হয়। ১৪ বছর বয়সী এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলেছে সংঘর্ষ চলেছে।
কুররমের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কায়সার আব্বাস নিশ্চিত করেছেন, আহতদের মধ্যে নয়জনকে গুরুতর অবস্থায় বিমান অ্যাম্বুলেন্সে পেশোয়ারে স্থানান্তর করা হবে। নিহতদের মধ্যে ৭জন নারী এবং ৩জন শিশু।
মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) নেতা সাজিদ কাজমি এই হামলার তদন্তে যৌথ তদন্ত-দল (জেআইটি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তবে এখনও কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কুররমে মোবাইল সিগন্যাল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পারাচিনার ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে শুক্রবার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:২৮ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি