ছাড় মেলেনি জিরো লাইন ঘেঁষা মৌলভীবাজারের জুড়ীর ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন যাবত জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শিলুয়া খেঁয়াঘাটের উজানে ভারত বাংলাদেশের আন্ত: সীমান্তবর্তী জিরো পয়েন্ট থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলনে প্রতিযোগিতা করে আসছে। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ট্রাক বোঝাই করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে এসব বালু। উক্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৪-১৫ টি স্পটে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে বালু হরিলুটের চিত্র। শিলুয়া খেয়াঘাট বালু মহালের ইজারাদার জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল ইসলাম। তাঁর ইজারার নির্ধারিত সীমানার বাহিরে উজানের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে জুয়েল রানার নেতৃত্বে চলছে এসব অবৈধ কর্মকান্ড।
যুবলীগ নামধারী ভোগতেরা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জুয়েল রানার নেতৃত্বে এবং বড়ইতলী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুরমান এর রক্ষণাবেক্ষণে এ হরিলুটের প্রতিযোগিতাপূর্ণ পুরস্কার প্রাপ্তির আশায় প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন এমন কর্মকান্ড!
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রতিদিন গড়ে শতাধিক গাড়ী বালু বিক্রয় করে জুয়েল রানা। প্রতি গাড়ী ৪-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হয়। ঘাটের নৌকার মালিক আজির উদ্দিন নামক এক ব্যক্তি উজানের সমস্ত বালু জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে নৌকা দিয়ে পরিবহন করে। এতে করে পরিবেশের বিনষ্ট করার দায়িত্ব যেমন নিয়েছেন তেমনি সরকারের রাজস্ব প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মোকামবাড়ী ও শিলুয়া বিজিবি ক্যাম্প, স্থানীয় ভূমি অফিসে বারবার অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারনে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে অভিযোগের বার্তা নেওয়া হয় না কোন পদক্ষেপ! নদীপাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন এইভাবে চলতে থাকলে যেকোন সময় আমাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
সরজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেলো বালু মহালের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার খসরু জানান, এগুলো আমাদের ইজারাদার বদরুল ইসলাম এর নয়। যুবলীগের জুয়েল রানা উজান থেকে বালু উত্তোলন করিয়ে আমাদের ঘাটে নির্ধারিত রয়েলটি প্রদান করে বিক্রি করে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান