লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যাটালিয়নের (৬১ বিজিবি) অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন বলেছেন, লালমনিরহাট সীমান্তের কোথাও সংখ্যালঘুর ওপর কোনো হামলা সংঘটিত হয়নি। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। ফলে সীমান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঢল নেমেছিল। পরে তারা গুজবের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে হাতীবান্ধা থানা হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ওপর কখনো কোনো হামলা হবে না। যেহেতু কোনো হামলা হয় নাই, সেক্ষেত্রে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বিজিবি আপনাদের আশ্বস্ত করছি। আপনারা নিজ নিজ বাসা বাড়িতে থাকুন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে সব সময় প্রস্তুত।
জুলকার নাঈন আরো বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা অন্য যেকোনো ধর্মের যারা রয়েছে, আমরা সকলেই বাংলাদেশি। সবার নিরাপত্তা প্রদান গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি ও বিওপি ক্যাম্পসমূহের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সীমান্ত এলাকার অন্য ধর্মাবলম্বী কারও ওপরে কোনো ধরনের আঘাত আসে নাই। পুলিশসহ প্রশাসনকেও সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এদিন উপস্থিত ছিলেন হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহফুজার রহমানসহ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় গুজব ছড়িয়ে পড়লে তিন শতাধিক সংখ্যালঘু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভীড় করে। পরে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন ভীড় করা লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:০৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি