মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউপির সাথে জেলা সদরে যাতায়াতের ধলাই নদীর উপর চৈত্রঘাট সেতু ফের বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায়, দীর্ঘ ১২ দিন যাবত মেরামত শেষ হওয়ার পরও সেতু চালু হতে না হতেই কয়লা বোঝাই পারাপারের সময় সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। গত শুক্রবার ভোরে সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ায় পুণরায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সেতু ফের বন্ধ হওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকালে চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন করে ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে ভারী যানবাহন ব্যতিত হাল্কা যান চলাচলের অনুমতি প্রদান করে সেতুটি চালু করে দেয়। ঐদিন বিকাল থেকে হাল্কা যান চলাচল শুরু হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যায় কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক সেতু পারাপারের সময় ধ্বসে পড়ে। এরপর থেকে পুণরায় মৌলভীবাজারের সাথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে বিকল্প সড়কে চা বাগান ঘুরে যানবাহন চলাচল করছে। এঘটনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ট্রাক আটক করে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করে।
এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়লা বোঝাই ট্রাক সেতু পারাপারের সময় পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। থানায় একটি ডায়েরীও করা হয়েছে। এই স্থানে নতুন সেতুর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় জনসাধারণের ভুগান্তির চিত্র। সাধারণ মানুষ দুঃখে, ক্ষোভে অভিমানে বলেন সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হাজারো মানুষের দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। অতীব শীগ্ৰই এর চলাচলের উপযুক্ত না হলে আমাদের করুন পরিস্থিতি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যেন দেখে যায়। আমরা কিভাবে আছি কিভাবে চলাচল করছি এমন অভিযোগ তুলে ধরেন আটকে পড়া সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে ধলাই নদীর উপর চৈত্রঘাট এলাকায় সেতু নির্মিত হয়। মৌলভীবাজার জেলা শহর ছাড়াও শমশেরনগর চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়ক ও সেতু, কমলগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়ন এবং কুলাউড়া উপজেলার তিন ইউনিয়নের হাজারো লোকজন প্রতিদিন এই সড়ক ও সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।
ডিবিএন/ডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান