আইপিএলে ইডেন গার্ডেন্সে আগে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স তুলেছিল ২৬১ রান। তবে জনি বেয়ারেস্টোর সেঞ্চুরিতে আট বল বাকি রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে পাঞ্জাব কিংস। যেকোনো টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্বরেকর্ড এটি।
এবারের আইপিএলে ইডেনের পিচ ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। ফর্মে না থাকা ব্যাটারকেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রজত পাতিদার রান পেয়েছিলেন। শুক্রবার ইডেন ফর্মে ফেরাল জনি বেয়ারস্টোকে। শতরান করলেন তিনি। পাঞ্জাব পেয়েছে জয়।
ইডেন ফেরত কেকেআর সমর্থকদের চোখে মুখে হতাশা। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ২৬১ রান তোলার পরেও হেরে যাবে দল। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এই প্রথম বার ২৬১ রান তাড়া করে জিতল কোনো দল।
এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫৮ রান তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কাও হয়েছে আজ। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ৪২টি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৮টি ছক্কা, সেটিও হয়েছিল এবারের আইপিএলে, গত ২৭ মার্চ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যাচে। পাঞ্জাব ছক্কা হাঁকায় ২৪টি। সেটাও রেকর্ড।
আজ দুই দল মিলে রান তুলেছে ৫২৩। আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের ৪ ওপেনারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন আজ। সুনীল নারাইন ও ফিল সল্ট—কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনার এবারের আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝড় তুলছেন। আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও ছিল এর ধারাবাহিকতা। দুজনে গড়েছেন ৬৩ বলে ১৩৮ রানের জুটি।
ঘরের মাঠে এর আগে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হেরেছিল কলকাতা। সেই ম্যাচে কেকেআরের ঘাতক ছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার।
২৬১ রান তুলেও হারা যায়! তা-ও আবার ৮ বল বাকি থাকতে। কী ভাবে হারতে হয় এই ম্যাচ? নিপুণভাবে শেখালেন অনুকূল রায়, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তীরা। শুক্রবার মিচেল স্টার্ককে খেলায়নি কলকাতা। তিনি প্রতি ম্যাচে গড়ে ৫০ রান দিয়ে থাকেন।
স্টার্কের বদলে নামা দুষ্মন্ত চামিরা ৩ ওভারে ৪৮ রান দিলেন। হর্ষিত দিলেন ৬১ রান। পাঞ্জাব ২৪টি ছক্কা হাঁকাল এই ম্যাচে। ছ’টি খেলেন হর্ষিত। পাঁচটি করে খেলেন চামিরা এবং বরুণ।
প্রথম জন রান আউট না হলে হয়তো আরও একটি শতরান দেখত ইডেন। ২০ বলে ৫৪ রান করেন প্রভসিমরন। আর শশাঙ্ক, ২৮ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। আটটি ছক্কা মারেন। নিলামে ভুল করে কেনা ক্রিকেটারই পাঞ্জাবের সম্পদ হয়ে উঠেছেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম