নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের ধোবারুহী কাজীবাড়ী গ্রামে মরহুম কাজী মাওলানা মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে শিকড়ের সন্ধানে কাজীবাড়ীর সদস্যরা ও সকল বংশগত আত্মীয় স্বজনরা সমাবেত হয়েছেন।
মরহুম কাজী মাওলানা মফিজ উদ্দিন ধোবারুহী কাজীবাড়ী গ্রামের সন্তান। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। অনেক সংগ্রাম ও ব্রিটিশ বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পরতেন। এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেতে গিয়ে জেল জুলুম হুলিয়ার মধ্যেও নির্বাক জীবন যাপন করতেন। কোন কিছুতেই থাকে দাবিয়ে রাখতে পারে নি। পরে পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি থাকাকালীন সময়ে ১৯৬৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তার ২ ছেলে ও ৭ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার কিছু বক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ৭ মেয়ের নাতি ও পুতিরা বর্তমানে বাংলাদেশের সনামধন্য কাজে ডাক্তার ইন্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্টানে দেশ ও দশের সেবা করে যাচ্ছেন। তার স্ত্রী আবেদা খাতুন তৎকালীন সময়ে এন্টাসপাশ ছিলেন এবং প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন ও পাশাপাশি এলাকার মানুষদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন।
পরে তার এক ছেলে ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা সিদ্দিকুর রহমানকে নেত্রকোণা জারিয়া কংশ নদীর পাড়ে হত্যা করে মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেয়।
আজ রবিবার কাজীবাড়ী গ্রামের মরহুম কাজী মাওলানা মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে সকাল থেকে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচিতি পর্ব, দোয়া ও মরহুম কাজী মাওলানা মফিজ উদ্দিনের কবরে দোয়া করা হয়। পরে আলোচনা করে প্রোগ্রামের সমাপ্তি হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, মোস্তফা খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হামিদ, অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার নুরুল ইসলাম, ইন্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, প্রফেসর শহিদুল ইসলাম, সাইফ মোঃ সাইফুল ইসলাম আশা কর্মকর্তা, অধ্যাপক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, মোঃ নিজামুল ইসলাম, মোঃ মাফুজুর রহমান, মোঃ মাসুদুর রহমান, আব্দুল হাই, মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ রাশিদ, মোঃ মান্নান, মোঃ হান্নান, এছাড়াও দেশের বাহিরে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন ডাক্তার মনোয়ারা (ইউএসএ) ও ডাক্তার আবুল হাসিমসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।