বাগদা চিংড়ী পোনার দাম বিগত বছর অপেক্ষা ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ী চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। উপজেলার পাইকগাছা চিংড়ী চাষ অধ্যাুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ৮০ এর দশক থেকে এ এলাকায় লবণ পানির চিংড়ী চাষ শুরু হয়। একারণে পাইকগাছায় প্রতিষ্ঠিত হয় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (লোনা পানি কেন্দ্র)।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. লতিফুর রহমান বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ব্যাপক সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ভাবণ করেছে পারসে, বাগদা, কাঁকড়া ও টেংরা পোনা। ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে চিংড়ি। ঘেরর সংখ্যা প্রায় হাজার। বিগত বছরে নদীতে যেমন পোনা পাওয়া যেত তেমনি হ্যাচারীর পোনাও ছিল পর্যাপ্ত। দাম ছিল নাগালে মধ্যে। দু-হাজার দশক থেকে একক মালিকানার গন্ডি থেকে বের হওয়া শুরু করে জমির মালিকরা। বেকারত্ব ঘুচাতে শতকরা ৯০%-৯৫% জমির মালিক চিংড়ী চাষে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তুু চলতি বছর চিংড়ি পোনা বা বাগদা রেনুর দাম অন্য বছর থেকে এবছর ৩-৪ গুণ বেশি। গত ২-৩ বছর চিংড়ী তে রোগ বালাই দেখা, একই সাথে বিক্রয় যোগ্য বাগদার দাম ছিল অনেক কম। ফলে চাষীরা হয় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ।
এদিকেে চলতি বছর হ্যাচারী বাগদা চিংড়ী পোনার দাম অন্য বছরের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি। ২০২৩ সালে যা প্রতি হাজার ২’শ থেকে ৩’শ টাকা ছিল তা বর্তমান ৮শ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোনা ব্যবসায়ীরা আগে বাকীতে বিক্রি করলেও চলতি বছর নগদ ছাড়া বিক্রি করছেন না। যা নিয়ে চিংড়ী চাষীরা পড়েছে চরম বিপাকে। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। হিমশীম খাচ্ছে ব্যবসা করতে। এরপর ২২ মে থেকে ২২ জুলাই পোনা উৎপাদন সরকারী নির্দেশনায় সাগরে প্রজননের কারণে বন্ধ রাখা হয়। সব মিলে অবস্থা খুবই খারাপ অবস্থা চিংড়ী চাষে।
এসব বিষয় নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা চিংড়ী চাষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, রয়্যাল ফিস ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, বাগদা চিংড়ীর ১২ মাস প্রজনন হয়। সেহেতু মে থেকে জুলাই মাসের পরিবর্তে অক্টোবর থেকে নভেম্বর করা চাষীরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে। এব্যাপারে তিনি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:১৫ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি
