সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এ নির্দেশ দেয়া হয়। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীকে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে জারি করা রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত অবৈধ বরাদ্দ প্রত্যাহার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী বরাদ্দ থেকে সুবিধাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। রিটে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের আবেদন জানানো হয়।
জানা যায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে তাদের প্লট দেয়া হয়। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। পরে রাজউকের নথিতে এটি ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। হাসিনার পতনের পর এ সংক্রান্ত প্লট বরাদ্দের ফাইল রাজউকের রেকর্ড শাখা থেকে সরিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে ফেলা হয়। পরে চেয়ারম্যানের ড্রয়ারে ফাইল রয়েছে এমন খবরে রাজউকে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দেয়। সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মুখে এ সংক্রান্ত ৬টি ফাইল পুনরায় রেকর্ডরুমে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চুরি বা নথি হারানোর শঙ্কায় সবকটি ফাইল বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:১৯ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি