‘বিলম্বিত প্রসব রোধ করি, ফিস্টুলা মুক্ত নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করি’–এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারীর ডোমারে মহিলা জনিত ফিস্টুলা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে ল্যাম্ব-এসএস-এফজিএফ প্রজেক্টের বাস্তবায়নে ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন—ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রায়হান বারী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান নোবেল, স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ আল-আমিন রহমান, দিনাজপুর ল্যাম্ব হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ ইছারব হোসেন, প্রতিনিধি মোঃ তোজাম্মেল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ লায়লা ইয়াসমিন চৌধুরী প্রমূখ।
সভায় ফিস্টুলা প্রতিরোধে বক্তারা বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসব রোধ, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে না দেওয়া ও ২০ বছরের আগে বাচ্চা না নেওয়া, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি করানো, নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ, সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বিষদ আলোচনা করেন।
এবিষয়ে ল্যাম্ব হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ ইছারব হোসেন জানান, আগামী ৪ঠা অক্টোবর ডোমার উপজেলায় ফিস্টুলা রোগ শনাক্তকরণের লক্ষ্যে স্ক্রিনিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বিনামূল্যে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে ল্যাম্ব হাসপাতাল ফিস্টুলা বিষয়ে কাজ করছেন। কার্যক্রমটির দাতা সংস্থা হিসেবে সহযোগিতা করছে উইমেনস হোপ ইন্টারন্যাশনাল (ডব্লিউএইচআই)। নীলফামারীর ৪টি উপজেলায় ল্যাম্বের বাস্তবায়নে মহিলাদের ফিস্টুলা রোধে কাজ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গতঃ বিবাহিত নারীদের বাচ্চা ডেলিভারির পর বা তলপেট অথবা জরায়ুতে কোনো অপারেশনের পর হতে মায়েদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রসাব বা পায়খানা অথবা উভয়েই ঝড়তে থাকা সম্পর্কিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটি বিনামূল্যে স্ক্রিনিং কার্যক্রমের মাধ্যমে শনাক্ত শেষে চিকিৎসা প্রদান করছে ল্যাম্ব। জরুরি হলে অপারেশনের সুযোগ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
*** আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:১৯ | রবিবার ***
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি