এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এর বিল পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভ ফের কমেছে। তবে এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) কয়েকটি দাতা সংস্থা থেকে ঋণ পাওয়ার পর বেড়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) আকুর বিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৭ বিলিয়নে, যা গত ৩০ জুন ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন। আর আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) অনুসারে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। গত ৩০ জুন ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন। সে হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ১৩২ কোটি ডলার।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে অবস্থান করছিল। গত জুনে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তিসহ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ পায় বাংলাদেশ। এতে ২৭ জুন দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন যে পদ্ধতিতে হিসাব করে আসছে সে অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগে ছিল যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৪৭ ও ২৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। গোপন করার পর অবশেষে গত ১ জুলাই প্রথমবার নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩০ জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আকুর বিল পরিশোধের পর আরও প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার কমে গেলো। সে হিসাবে দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ কমে ১৫ বিলিয়নের ঘরে নেমে এসেছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি ব্যয় ধরলে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না।
উল্লেখ্য, আকু একটি অন্তর্দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের তেহরানে আকুর সদরদপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৩২ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি