আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়ে গেল সম্প্রতি। এক দিনের এই সম্মেলনে কোন চমক ছিলনা। নেতৃত্বও বদল হয়নি। সভাপতি বদল হবেনা সেকথা সকলেরই জানা। কিন্তু সাধারন সম্পাদক পদে নতুন মূখ আসবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল অনেকে।এই পদেও ওবায়েদুল কাদের তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কোন ঘোষনা ও ছিলনা একদিনের এই সম্মেলনে। অবশ্য সরকারের মেয়াদ পূর্নকরে নির্বাচনের জন্য ব্যপক পরিবর্তন এই মুহুর্তে সঠিকও হতনা। নির্বাচনি প্রস্তুতিতে নেতৃত্বকে এখনোই মাঠে নামতে হবে। কারন আগামি নির্বাচন সহজ হবে না।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
হঠাৎ করেই বি এন পি এবং সমমনা দলগুলি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গত মাসে তারা বিভিন্ন জেলা শহরে শো ডাউন করেছে। ঢাকাতেও মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল। ঢাকার সেই সমাবেশ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু জনমনে কম করে হলেও একটি আতঙ্ক তুলে দিয়েছে। বি এন পি’র জন্য এটাই যথেষ্ঠ ছিল। কিছু নেতা এবং দল জামাতের চেয়েও যঘন্য ভাবে সরকারের বিরুদ্ধ্ব মাঠে নেমেছে। এই নেতা বা দলগুলির রাজনীতিতে কোন গুরত্ব নেই। কিন্তু এরা বি এন পি”র লাউড স্পিকার হয়ে প্রতিদিন রেকর্ড বাজাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাঠে থাকলে এই ব্যর্থ নেতাদের কন্ঠ থেমে যাবে সহজেই। এই সত্যটি আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করতে পেরেছে এটাই এবারের সম্মেলনের বড় সাফল্য।
সরকারের সাফল্যকে নাম সর্বস্ব নেতারা ব্যর্থতা এড়াতে ঠিকাদারের দায়িত্ব পেয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে (যদি সঠিক সময়ে হয়) আওয়ামী লীগকে বিজয়ী হতে হলে এখনোই মাঠে নামতে হবে। সবাই না হলেও অনেক নেতাই নিজ এলাকায় জনসমর্থন হারিয়েছে। এই নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হলে অনেকেই কঠিন প্রতিদ্বন্দিতায় পরবেন। কোন কোন নির্বাচনি এলাকায় নিজ দলের বিরোধী প্রার্থীদেরও মোকাবেলা করতে হতে পারে। নতুন রূপে নেতৃত্বকে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া সঠিক হবে। নেতৃত্ব বদল না হলেও প্রার্থী বদলের প্রয়োজন হবে। নতুন কমিটিতে পদ বদল না করে তেমনটিই করা হয়েছে কিনা সময় বলে দিবে। দেশে এখন নেতা নয় জননেতা দরকার। সমিষ্টগত ভাবে প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীকে দল এবং দেশের কথা ভেবে রাজনীতি করবেন- এমনটাই প্রত্যাশা রইলো। সভানেত্রী সহ সকল নব নির্বাচিত নেতৃত্বক্ব অভিনন্দন জানাই। জয় বাংলা।।