ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাগরিকার পরিবারের নতুন বাড়ীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে তৈরি করা হচ্ছে নতুন দুই রুম বিশিষ্ট একটি আধাপাকা টিন সেটের বাড়ী। রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মদিনে সাগরিকার বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, ভাইসচেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালি বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী, রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক মো.তাজুল ইসলাম,জাতীয় পাটির যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ও রিয়াজুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্যামিয়েল মার্ডি প্রমুখ।
নতুন ঘরের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের পর খুশিতে কেঁদে ফেলেছেন সাগিরকার বাবা চা বিক্রতা লিটন আলী ও তার মা আনজু আরা বেগম । তারা বলেন, তার মেয়ের কারণেই আজ তারা নতুন বাড়ী পাচ্ছেন।
জানা গেছে, সাগরিকার বাবার চায়ের দোকানের আয়ে চলে তাদের সংসার। রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কে বাশরাইল এলাকা থেকে উত্তরে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতে সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুটি করা হয়েছে কাঁশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাঁউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। সাগরিকার বাবা-মা জানান, টাকার অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন নির্মাণ করতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, সাগরিকার জন্য আজ রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রাম সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, দেশের সম্পদ। সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে সাগরিকার মতো অনেকে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার উৎসাহ পাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাগরিকার মা-বাবাকে বাড়ি তৈরি করে দিতে পারায় আমরা গর্বিত ও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবো।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৫৪ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি