মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি পূজা মণ্ডপে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও শিশুদের নির্বিচারে মারধরের অভিযোগে বহিরাগত রুহেনা আক্তার লুবনা (২২) নামের এক তরুণীকে পূজা কমিটির লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। এনিয়ে বাগান এলাকার পূজারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলে রবিবার (১৩ই অক্টোবর) দুপুরে কুলাউড়ার ইউএনও মো. মহিউদ্দিন, এসিল্যান্ড শাহ জহুরুল হোসেন, ওসি মো: গোলাম আপছারসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতাকে শান্ত করে, লুবনাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রবিবার দুপুরে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের বিজয়া চা বাগানের মন্দিরে গ্রেপ্তার হওয়া লুবনা রংপুর জেলার আলামিনের স্ত্রী। জয়চন্ডীর কামারকান্দি এলাকায় লুবনার নানাবাড়ি রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
তবে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও চা শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ পূজার অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কোন মহল পরিকল্পিতভাবে মেয়েটিকে মন্ডপে এনে আমাদের শিশুদের মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্ঠা করা হয়েছে। মেয়েটি পাগলের অভিনয় করে মন্দিরের সিসি ক্যামেরার লাইনটি ছিড়ে ফেলে। সেই মেয়েটি মন্দিরের অনেক ক্ষতি করতে পারত। পুলিশ কিভাবে বললো মেয়েটি পাগল?
পুলিশ জানায়, লুবনা গত সপ্তাহে তার নানাবাড়িতে ঘুরতে আসে। শনিবার রাতে বিজয়া চা বাগান এলাকায় বাগানের নাইটগার্ড তাকে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে মন্দির এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে রাত্রিযাপনের জন্য বাগানের পাশে রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সকলের অজান্তে লুবনা মন্দিরে ঢুকে মন্দিরের সিসি ক্যামেরার লাইনটি ছিড়ে শিশুদের মারধর করে। বিষয়টি অন্যান্যরা দেখতে পেয়ে তাকে আটকে রেখে পুলিশকে জানান।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লুবনাকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি মো: গোলাম আপছার জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে লুবনাকে আটক করি। জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত্রিকালিন এলাকার দায়িত্বে থাকা এএসআই নূরু মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ঢেকে আনা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:৫৮ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি