চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
তার ওপর থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে কোম্পানি। এই দাবিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যাটজিপিটি প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন অনুষ্ঠানে বড় মন্তব্য করেছেন তিনি। হঠাৎ কী কারণে তাঁকে বরখাস্ত করল কোম্পানি? তার বরখাস্তের পর ইস্তফা দিয়েছেন কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতাও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওপেনএআই’র চিফ টেকনোলজি অফিসার মীরা মুরাতি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের সিইও’র দায়িত্ব পালন করবেন। কোম্পানি বলেছে, স্থায়ীভাবে সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওপেনএআই পরিচালনার ক্ষেত্রে স্যাম অল্টম্যানের সক্ষমতা নিয়ে আস্থার ঘাটতি দেখা দেয়ায় তাকে সিইওর পদ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তার ওপর আর ভরসা রাখতে পারছে না কোম্পানি। যে কারণে সিইও পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করেছে ওপেনএআই। সিইও পদ থেকে বরখাস্ত হতে স্যাম অল্টম্যান তার এক্স হ্যান্ডেলে জানান, আমি ওপেনএআইয়ে ভালো সময় কাটিয়েছি। প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।
সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক কো-অপারেশনে তিনি বলেন, আত্ম-ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে মানবজাতি। সমাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব গুরুত্বর হতে পারে। যদিও তিনি মনে করেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখনও অবধি মানুষের আবিষ্কার করা সবচেয়ে কার্যকরী প্রযুক্তি। যার খারাপ দিকগুলো চিহ্নিত করতে পারলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ওপেনএআই-এর সিইও জানান, আমাদের নতুন আইডিয়া দরকার। মানবজাতি হিসাবে আমরা আত্ম-ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছি। নতুন প্রযুক্তি আনা দরকার যা আমাদের আরও কয়েক হাজার বছর ধরে উন্নতি করতে সাহায্য করবে। এবং আমি মনে করে এআই-তে অনেকেই সেই সম্ভাবনা দেখতে পায়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম