প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানে সংযমের পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে। এসব ব্যবসায়ী, চোরাকারবার ও ঈদে জাল টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ বুধবার (৬ মার্চ) সকালে র্যাবের সদর দপ্তরে র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জঙ্গিবাদ দমনে র্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র্যাব। এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ ও তাদের পুনর্বাসন করেছে তারা। কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। র্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত নির্বাচনে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতেও তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। আর যারা চায়নি দেশে নির্বাচন হোক তারাই বরং এ কাজে খুশি হতে পারেনি। কিন্তু দেশের জনগণ ও বন্ধুপ্রতীম দেশ-সংস্থা সবাই খুশি হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ায় এবং আবার সরকার গঠনের জন্য তারা চিঠি পাঠিয়েছে।
‘সবকিছুর লক্ষ্য হলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। র্যাবে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, মহাপরিচালক পদক চালু করা হবে। আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সহায়তা করবে, বাহিনীগুলোকে আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে। তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেব।
‘আজকে আমরা দেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পেরেছি, এই উন্নতিটা কিন্তু হয়েছে এসব কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে নিস্ক্রিয় করতে পেরেছি বলেই। জঙ্গি নেতাদের গ্রেপ্তার করা, তাদের বিভিন্ন আস্তানা ধ্বংস করা বা এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর র্যাব অভিযান যেভাবে চালিয়েছে, আজকে আমাদের দেশে একটা শান্তি, স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছিলো, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের চেষ্টা করা হয়েছিলো। সেখানেও আমরা ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।’
‘আমাদের নিজের দেশের মধ্যে নিজেরা কেন আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হবো? এই আত্মঘাতী সংঘাত থেকে মানুষকে মুক্ত করা সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেটি নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে র্যাবের ভূমিকা রয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করা এবং জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা-এই কাজটা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে র্যাব করতে পরেছে।’
দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ছিল র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো৷ যারা এখানে গণতান্ত্রিক ধারার অব্যাহত যাত্রা চায়নি, তাদের কাছে বিগত নির্বাচন ভালো লাগবে না। মনুষ্য সৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবকিছুকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সবাইকে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম