সুদানের পূর্ব দারফুরের আঞ্চলিক গভর্নর খামিস আবাকারকে অপহরণ করে হত্যা করেছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। গতকাল বুধবার (১৪ জুন) দারফুরের জেনেইনাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব দারফুরের নিহত গভর্নর খামিস আবাকার লড়াইয়ের শুরু থেকেই আরএসএফের সমালোচনা করে আসছিলেন। তিনি এই বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ অভিযোগও তুলেছিলেন। প্রকাশ্যে সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পরই রাজ্যের গভর্নর হয়েও প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
এদিকে সুদানের সেনাবাহিনীর দাবি করেছে, পূর্ব দারফুরের গভর্নরকে প্রথমে তুলে নিয়ে যায় আরএসএফ। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনী ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, সুদানের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যে জঘন্য অপরাধ আরএসএসফ সংঘটিত করছে, গভর্নর আবাকারকে হত্যার বিষয়টি তাদের নৃশংসতায় নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তবে এ বিষয়ে আরএসএফের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওা যায়নি।
দারফুর অঞ্চলের গভর্নর মিনি আরকো মিনাউই বলেন, একটি টেলিভিশন স্টেশনে সাক্ষাৎকার দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর খামিস আবাকারকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
এর আগে আল হাদাথ টিভিকে আবাকার বলেছিলেন, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
কয়েক বছর অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি অনেকটা হঠাৎ করেই সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের ক্ষমতার একচেটিয়ে দখলে লড়াই করছে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।
প্রথমে রাজধানী খার্তুম ও এর চারপাশের শহরগুলোতে সংঘাত শুরু হলেও ক্রমেই তা পশ্চিমের দারফুর অঞ্চল পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। এই অঞ্চলেই আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের উৎপত্তি এবং এখানে তারা নিজেদের প্রভাব বজায় রেখেছে। খার্তুম ও দারফুরের মধ্যবর্তী শহর এল ওবেইদও সংঘাতের শিকার।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন