কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে চর ও নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। আসন্ন ঈদের আগে বন্যার শঙ্কা নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন চরাঞ্চলের মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি জেলার ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় সব কয়টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এরই মধ্যে বেশকিছু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে চরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে জেলার সব কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। বন্যার আশঙ্কাও নেই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার সবকটি উপজেলায় প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে বন্যার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি