খুব বেশি দিন হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। তবে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন বল হাতে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছেন তানজিম সাকিব। আজ কিউইদের বিপক্ষেও ছিলেন দুর্দান্ত। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দলের জয়েও বড় ভূমিকা রেখেছেন।
নিউজিল্যান্ডের মাটি এতদিন এক দুঃস্বপ্নের নাম ছিল বাংলাদেশের জন্য। এর আগে কিউইদের বিপক্ষে ১৮টি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও জয় ছিল অধরা। আগুনে বোলিং করে সেই ইতিহাস পাল্টে দিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।
মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষের সবকয়টি উইকেট নিল বাংলাদেশের পেস বিভাগ। শরিফুল ইসলাম-তানজিম হাসান সাকিব-সৌম্য সরকারদের সামনে দাঁড়াইতেই পারেননি কিউই ব্যাটাররা। ৩১ ওভার ৪ বলেই ৯৮ রানে অলআউট। যেই লক্ষ্য ৯ উইকেট ও ২০৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এদিন ৩টি করে উইকেট নেন শরিফুল, সাকিব ও সৌম্য। বাকি উইকেটটি মোস্তাফিজুর রহমানের। ৭ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শরিফুল। নতুন বলে তার সঙ্গী তানজিম সাকিব ৭ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে ২ ওভার আবার মেডেন। অন্যদিকে সৌম্য ৬ ওভারে ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
তবে ইকোনমি রেট, মেডেনসংখ্যা এবং উইকেট বিচারে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিবই। সবমিলিয়ে ৭ ওভারে ২ মেইডেনসহ সাকিব ১৪ রানে শিকার করেছেন ৩ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার ম্যাচ সেরা হওয়ার অনুভূতিটা তার জন্য বিশেষ।
৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই তানজিম সাকিবের সেরা বোলিং। ম্যাচসেরা হয়ে এই পেসার বলেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। যেভাবে শুরু করেছিলাম সেটা ভালো ছিল। বোলিংটা উপভোগ করেছি। বল ভেতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে ভালো মুভও করেছে। লাইন ও লেংথ ধরে রেখে উইকেট টু উইকেট বল করার চেষ্টা করেছি। বাকি কাজ পিচ করেছে এবং সেখান থেকে সাহায্যও পেয়েছি। এই পিচ পেসারদের জন্য দারুণ।’
বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা ঝড়েছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম কণ্ঠেও, ‘অবশ্যই আমরা প্রত্যাশার চেয়েও বাজে খেলেছি। বাংলাদেশ (পেসাররা) মুভমেন্ট পেয়েছে এবং ভালো জায়গায় বল করেছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।’
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম