ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় একটি আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুন (৪৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হিসাব ও অর্থ) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোছা: লিজা বেগম, সিনিয়র এএসপি মো: ফারুক, পরিদর্শক নিরস্ত্র (ডিআইও-১), ডিএসবি (এএসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো: আব্দুল মতিন প্রধানসহ ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক (পিপিএম-সেবা) বলেন, গেল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানাধীন ৯নং সেনগাঁও ইউপির অন্তর্গত কানাড়ী গ্রামস্থ আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুন (৪৮)র লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল (২৮) পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পীরগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে নিবিড়ভাবে কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অপরাধ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দল একই দিনে হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামি ওই এলাকার মালগাঁও গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দীনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৬) ও কানাড়ী গ্রামের মৃত ধনীবুল্লার ছেলে এনতাজুল (৪৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, রেজিয়া খাতুন (৪৮)কে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়। কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃত ২ জন স্বীকার করেন। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:১৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পি)