সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নূর ইসলাম। পেশায় একজন গাছ ব্যবসায়ী। নূর ইসলামের পিতা রওশন আলী একজন দিনমজুর কৃষক। কৃষি কাজ করেই চলে তাদের সংসার।নিজের জমি বলতে বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৪৫ শতাংশ আবাদি কৃষি জমি। সাংসারিক ভাবে স্থানীয় ক্ষুদ্র ঋণ দান সমিতি উদ্দিপন থেকে দুই হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে কেনেন ২ কেজি সূর্যমুখী বীজ। বাবার জমি বর্গা নিয়েই চাষ করেন সূর্যমূখী। তার চাষ করা সূর্যমুখী ক্ষেতে সূর্যমুখীর হলুদ আঙ্গিনায় প্রত্যেকদিন সকাল থেকেই দেখা যায় মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের তরুণ-তরুণীদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত থাকে সেখানে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ-বা ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ইমরান হাসান পরিবারের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন। এসে তার খুবই ভালো লেগেছে। ছবি তুলেছেন, ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে সূর্যমুখীর ক্ষেত দেখতে প্রচুর লোক সমাগমে বেকায়দায় পড়েছে কৃষক নুর ইসলামের পরিবার। পরিস্থিতি সামালাতে তার পরিবারের লোকজন হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই বাগানে ঢুকে ফুল ও গাছ নষ্ট করেন বলে অভিযোগ তাদের। কেউ কেউ ফুলের ছবি তোলার জন্য তা ছিঁড়েও ফেলেন।
রায়গঞ্জ উপজেলার তেলিজানা এলাকার চাষি আহমেদ কবির বলেন, “অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ার কারণে আগামীতে এই ফুলের চাষ তিনিও করবেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের তেলিজানা ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা উপসহকারী মাহবুবুল হাসান বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ স্যারের দিক নির্দেশায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, “এই ফুলের চাষ নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিতে হয়। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান